‘পোপের চুম্বনে’ ক্যানসারমুক্ত ১২ বছরের কিশোরী!
পোপ ফ্রান্সিসের ‘স্নেহ চুম্বনে’ ক্যানসার থেকে সেরে উঠেছে ১২ বছরের কিশোরী। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির ক্যাথলিকদের বরাত দিয়ে এমন খবরই জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। পোপ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে রোমান ক্যাথলিক মতের অনুসারীদের প্রধান ধর্মগুরু।
নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর নিউজার্সি সফরে যান পোপ ফ্রান্সিস। পরদিন সেখানে স্থানীয় এক গির্জায় প্রার্থনার সময় ‘নিউরোব্লাস্টমা’ নামে জটিল ক্যানসারে আক্রান্ত গ্রেসি নামের এক কিশোরীকে তাঁর সামনে নিয়ে আসেন তাঁর বাবা-মা। তাঁদের একটাই চাওয়া, পোপ যদি একবার তাঁদের সন্তানের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। তাহলে হয়তো সেরে উঠবে তাঁদের আদরের সন্তান।
সেদিন তাঁদের ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। ১২ বছরের শিশুটির কপালে তিনি এঁকে দিয়েছিলেন স্নেহচুম্বন। আর এই চুম্বনেই ক্যানসারমুক্ত হতে শুরু করেছে শিশুটি! নিউইয়র্ক টাইমস গ্রেসির চিকিৎসকদের বরাতে জানিয়েছে, গ্রেসির শরীরের ক্যানসার কোষ আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে, যা সাধারণত জটিল কেমোথেরাপির পর হতে দেখা যায়।
গ্রেসির বাবা ড্যানভার জনাথন বলেন, “চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রায় হাল ছেড়েই দিয়েছিল। আমার মেয়ে বাঁচবে না এমন কথা বলে দিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু একটা ‘স্নেহ চুম্বন’ দূর করে দিয়েছে ছোট্ট গ্রেসির জীবনে ঘনিয়ে আসা সব কালমেঘ।”
এদিকে পোপের এই স্নেহচুম্বনকে ঘিরে বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়েছে বেশ। অনেকেই এটিকে ‘মিথ্যা ও বুজরুকি’ খবর বলে আখ্যা দিয়েছে। কিন্তু গ্রেসির বাবা ড্যানভার জানান, ঈশ্বরে বিশ্বাস কিংবা নাস্তিক ভাবধারা যে কারণেই পোপের চুম্বনে ক্যানসার মুক্তির ঘটনা নিয়ে যতই দ্বিধা-বিভক্ত হোক মানুষ কিন্তু এই এক ঘটনা যে আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিয়েছে, এই ঐশ্বরিক আর অলৌকিক ঘটনা আমি কীভাবে অস্বীকার করি!”
আর নিউজার্সির মানুষের কাছেও ধর্মীয় বিশ্বাস, ঈশ্বরই প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন ১২ বছরের ছোট্ট মেয়ে গ্রেসির।