লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলাকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় সোমবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
 
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ভেনেজুয়েলাকে হুমকি ঘোষণা ছাড়াও দেশটির সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সইও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
 
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা তিন ব্যক্তি হলেন ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ সেবিন-এর প্রধান গোস্তাভো গঞ্জালেস, পুলিশপ্রধান ম্যানুয়েল প্যারেজ, ন্যাশনাল গার্ডের সাবেক কমান্ডার জাস্তো নগুয়েরো। বাকি চারজনের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তাঁদের মধ্যে তিন সেনা কর্মকর্তা ও সরকারপক্ষের একজন কৌঁসুলি আছেন।
 
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোশ আর্নেস্ট বলেন, ‘ভেনেজুয়েলার বর্তমান ও সাবেক যেসব কর্মকর্তা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, যাঁরা দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন, তাঁদের এখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) স্বাগত জানানো হবে না।’ তিনি বলেন, ‘বিরোধীদের ওপর ভেনেজুয়েলা সরকারের হস্তক্ষেপে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিরোধীদের অপরাধী করে ভেনেজুয়েলার সমস্যার সমাধান হবে না।’
 
যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে ভেনেজুয়েলাকে হুমকি ঘোষণা করল, যখন আরেক লাতিন দেশ কিউবার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে। আদেশের মাধ্যমে ভেনেজুয়েলার জ্বালানি খাত কিংবা বৃহত্তর অর্থনীতিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। তবে এর মাধ্যমে দেশ দুটির মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরো বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
 
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো এ নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এটিকে তাঁর সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন।
 
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, কোনো দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির আগে যুক্তরাষ্ট্র সেটিকে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি ঘোষণা করে। অতীতে ইরান ও সিরিয়ার ক্ষেত্রেও একই উদ্যোগ নিয়েছিল দেশটি।