প্রচণ্ড তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র, নিহত ৮
প্রচণ্ড তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। এখন পর্যন্ত তুষারঝড়ে অন্তত আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশটির রাজধানীসহ ১০টি রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রাজধানী ওয়াশিংটনসহ নিউইয়র্ক পর্যন্ত তুষারঝড় হানা দিয়েছে। আরকানসাস, টেনেসি ও কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে আটজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম। এরই মধ্যে পুরু বরফের চাদরে ঢেকে গেছে দেশটির পূর্বাঞ্চলসহ ওয়াশিংটন, নিউইয়র্কের মতো শহরগুলো।
এদিকে আরো তুষারঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর। ওয়াশিংটন ছাড়াও নর্থ ক্যারোলিনা, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, আরকানসাস, টেনেসি ও ভার্জিনিয়াসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১৮টি অঙ্গরাজ্যে তুষারঝড় বয়ে গেছে। অনেক স্থান ৬১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বরফের প্রলেপে ঢাকা পড়েছে।
বিমানের উড়ান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ফ্লাইটওয়্যারের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, তুষারঝড়ের কারণে দেশটিতে প্রায় সাত হাজার বিমানের উড়ান বাতিল করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার পর্যন্ত এ পরিস্থিতি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর।
এদিকে আজ শনিবার ওয়াশিংটন ও আশপাশের এলাকায় দুই থেকে তিন ফুট তুষারপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটি আবহাওয়া দপ্তর। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এসব স্থানে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ মাইল বেগে বাতাস বইছে।
এই প্রচণ্ড তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবনও। আবহাওয়া দপ্তর দেশটির নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিপদ মোকাবিলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে ঘরে মজুদ করে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা।
দুর্যোগের কারণে এরই মধ্যে ওয়াশিংটনের স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গণপরিবহন চলাচলের সময়সূচি বিকেল থেকে সকাল পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
ওয়াশিংটনের মেয়র মুরিয়েল বোসার সবাইকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘এটাকে বড় ঝড় হিসেবে দেখা হচ্ছে।’ আর জাতীয় আবহাওয়া কার্যালয়ের পরিচালক লুইস ইউসেলিনির এই তুষারঝড়ের কারণে পাঁচ কোটির মতো মানুষ আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন।
এই তুষারঝড়কে বলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ তুষারঝড়। ধারণা করা হচ্ছে ওয়াশিংটনে ঝড়ের তীব্রতা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।