প্রতিষেধকের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১০ বছর
এই মুহূর্তে বিশ্বের আপামর মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম জিকা ভাইরাস। এটি এমন একটি ভাইরাস যার দ্বারা আক্রান্ত হলে নেই কোনো চিকিৎসা। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধকও নেই।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিকা ভাইরাসের ব্যবহারের উপযোগী একটি প্রতিষেধক তৈরি করে বাজারে ছাড়তে ১০ বছর সময় লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের গবেষণাগারে চলছে জিকা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি হাই সিকিউরিটি গবেষণাগারে ব্রাজিল থেকে সংগ্রহ করা নমুনার ওপর গবেষণা চালাচ্ছেন গবেষকরা। গবেষণাগারে প্রতিষেধক তৈরির জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে ১৫ হাজারের মতো মশা সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে এসব মশাগুলো রাখা হয়েছে।
বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, মশাবাহিত এই ভাইরাসের কথা কিছুদিন আগে মানুষের নজরে আসে। এই ভাইরাস দ্বারা গর্ভবতী মায়েরা আক্রান্ত হলে বিকৃত মস্তিষ্ক শিশু নিয়ে জন্মাতে পারে। কয়েক মাস ধরে ক্যারিবিয়ান ও দক্ষিণ আমেরিকার ২০টিরও বেশি দেশে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ।
গবেষক ড. শাহনান রসি বিবিসিকে জানান, খুব কম সময়ের মধ্যে অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হচ্ছে তাদের। যেমন-এই ভাইরাস অন্য প্রাণীকে আক্রান্ত করতে পারে কি না? মানুষের দেহে এটা কতদিন কর্মক্ষম থাকে? ঠিক কোন প্রজাতির মশা জিকা ভাইরাসের বাহক? ইত্যাদি।
এখনও গবেষণার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তবে গবেষকরা বলছেন, জিকা ভাইরাসের কার্যকর একটি প্রতিষেধক তৈরিতে খুব বেশি সময় লাগবে না। আগামী বছর নাগাদ পরীক্ষামূলক হলেও, একটি প্রতিষেধক হয়তো উদ্ভাবন করতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু সময় লাগবে জনসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত করতে এবং বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র পেতে। এ জন্য ১০ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।