লাহোরে দুটি গির্জায় আত্মঘাতী হামলা, নিহত ১৫
পাকিস্তানের লাহোরের দুটি গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৭৮ জন। আজ রোববার দুপুরে শহরের ইয়ুহানাবাদের খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকার দুটি রোমান ক্যাথলিক গির্জায় এই হামলা হয়।
পাকিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা প্রায়ই জঙ্গিদের হামলার শিকার হন। পাকিস্তান তালেবানের একটি শাখা জামায়াতুল আহরার আজকের হামলার দায় স্বীকার করেছে।
আজ প্রার্থনার জন্য অনেক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী চার্চ দুটিতে জমায়েত হয়েছিলেন। হামলার পর পরই ওই এলাকায় তীব্র বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা হামলার জন্য অপর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন।
হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনের ওপর বিক্ষোভকারীরা চড়াও হয়। এদের একজন নিহত হয়েছে। লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীরা লাহোরের ফিরোজপুর রাস্তা বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বিক্ষোভকারীদের একটি বাসস্টেশনে হামলা চালাতে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুজন আত্মঘাতী হামলাকারী চার্চের প্রধান ফটকের কাছে বোমা হামলা চালায়। তবে পুলিশ এই বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি।
আমির মসিহ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তিনি শব্দের উৎসের দিকে দৌড়ে যান। গির্জার প্রধান ফটকে গিয়ে দেখতে পান সেখানে দায়িত্বে থাকা এক নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে একজনের ধস্তাধস্তি হচ্ছে। চার্চে ঢুকতে না পেরে ওই ব্যক্তি সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটায়।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসেন এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী গত বছর থেকে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি অঞ্চলের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে আসছে। সেনাবাহিনীর অভিযানের বদলা নিতেই এই হামলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ২০১৩ সালে পেশোয়ারে গির্জায় হামলায় ৮০ জন নিহত হয়। ওই হামলাটি দেশটির কোনো গির্জায় ভয়াবহতম হামলা।
মুসলমান অধ্যুষিত পাকিস্তানের মাত্র দুই শতাংশ মানুষ খ্রিস্টান।