ফালুজার কাছে ইরাকি বাহিনী ও আইএসের মধ্যে তীব্র লড়াই
ইরাকের ফালুজা শহরের কাছের এলাকাগুলোতে সরকারি বাহিনী ও ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র লড়াই হচ্ছে। ফালুজার কাছের শহর কারমা আইএসের হাত থেকে দখল করে নিয়েছে ইরাকি বাহিনী। তবে উত্তর ফালুজায় সরকারি বাহিনীর ওপর তীব্র হামলা চালিয়েছে আইএস।
বিবিসি জানায়, ফালুজা দখলের লড়াইয়ে বেশ এগিয়েছে ইরাকি বাহিনী। শহরটির ৪৫ কিলোমিটার পশ্চিমে বিপুল সংখ্যক সরকারি সেনা অবস্থান নিয়েছে। যুদ্ধের আশঙ্কায় ফালুজা শহর ও এর আশপাশের অঞ্চল থেকে সাধারণ জনগণ পালাচ্ছে।
ফালুজায় আইএসের প্রথম প্রতিরক্ষা ঘাঁটি বলে পরিচিত কারমা শহর দখল করে নিলেও শহরটির উত্তরাঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রচণ্ড প্রতিবন্ধকার মুখে পড়েছে ইরাকি বাহিনী। এ অঞ্চলে আইএসের গাড়িবোমা হামলায় ইরাকি বাহিনীর কয়েক সদস্য নিহত ও আহত হয়েছেন। ফালুজার দক্ষিণাঞ্চলে হেলিকপ্টার গানশিপের সহায়তায় প্রচণ্ড হামলা চালিয়েছে সরকারি বাহিনী।
ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ফালুজায় ইরাকি বাহিনীর এমন পদক্ষেপের মাত্র একদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায় শহরটির আইএস কমান্ডার মাহের আল-বিলাওয়িসহ কয়েক জঙ্গি নিহত হয়।
বিবিসি জানায়, কারমা দখলের লড়াইয়ে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিশেষ সেনা ও রাষ্ট্রীয় পুলিশ অংশ নেয়। এ ছাড়া ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়ারাও এ লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। শহরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হলেও কারমা এখন জনশূন্য। অনেক দোকানপাট ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
ফালুজা শহর দখলের লড়াইয়ের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনাদের জড়ো করা হয়েছে। হামলার জন্য প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও কখন মূল হামলা চালানো হবে, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানায়, ৫০ হাজারের বেশি বেসামরিক জনগণ ফালুজায় আটকা পড়েছে। বিমান থেকে ফেলা লিফলেটে তাঁদের বসবাসের ভবনের ওপর সাদা চাদর বিছিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
২০১৪ সালে ফালুজা শহর দখল করে আইএস। পরে ইরাক ও সিরিয়ার আরো কিছু অঞ্চল দখলে নিয়ে তারা খিলাফত ঘোষণা করে। আইএস নিয়ন্ত্রিত আরেকটি ইরাকি শহর হলো মসুল।