গেট-টুগেদারের শাস্তি প্রত্যেকের ৯৯ বেত্রাঘাত

ইরান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির স্নাতকোত্তর শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন তাঁরা। একসাথে এতগুলো বছরের শিক্ষাজীবন শেষে ডিগ্রিলাভ। শিক্ষাজীবনের শেষবেলায় এসে সবাই মিলে এক ‘গেট-টুগেদার’ পার্টির আয়োজন করেন তাঁরা। আর এজন্য যে এতবড় শাস্তি পেতে হবে তা হয়তো ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেননি কেউ।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অনুষ্ঠিত ওই পার্টিতে ইসলামিক দেশটির নৈতিকতা-বিধি ভাঙার দায়ে ৯৯ ঘা বেত মারা হয়েছে ৩৭ জন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াকে। এর আগে ওই স্নাতকোত্তর পাস করা প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে দেশটির ধর্মীয় পুলিশ।
ইরানের সংবাদমাধ্যমের বরাতে টেলিগ্রাফের খবর অনুযায়ী, গত সপ্তাহের শনিবার ইরান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা কাজিনভ শহরে স্নাতকোত্তর পার্টিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ছেলেমেয়ের একসঙ্গে পার্টিতে শামিল হওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় প্রসিকিউটর জেনারেল ইসমাইল সাদেঘি নিয়ারাকি তাঁদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসেন।
পরে ধর্মীয় আদালতে এই শিক্ষার্থীদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়। সেখানে বিচারক প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৯৯ ঘা বেত মারার সাজা দেন। নীতি-পুলিশ এক মুহূর্ত দেরি না করে জনসম্মুখে সেই সাজার নির্দেশ কার্যকর করে যাতে ভবিষ্যতে সামাজিক রীতি লঙ্ঘনের চেষ্টা করার কী ভয়ঙ্কর পরিণাম হতে পারে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া যায়।
স্থানীয় প্রসিকিউটর জেনারেল ইসমাইল সাদেঘি নিয়ারাকির দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া ওই ছেলেমেয়েরা অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছিলেন, মদ খেয়ে তাঁরা অশালীন আচরণও করেছিলেন। তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের জেরা, তদন্ত ও বিচার করে সাজা ঘোষণা ও কার্যকর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইরানে ছেলে ও মেয়েদের একসঙ্গে নাচ নিষিদ্ধ। এ ছাড়া দেশটিতে যেকোনো ধরনের মদ্যপানে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।