হাড়ে আছে ‘সোনা’, তাই সাদা মানুষ ‘শিকার’!
শুধু জীবজন্তুই নয়, মানুষও মানুষকে ‘শিকার’ করে ! কোনো দ্বন্দ্বে বা যুদ্ধকালীন হত্যাকাণ্ড নয়। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরির লক্ষ্যে মানুষ শিকারের ঘটনা ঘটছে আফ্রিকার কয়েকটি দেশে।
তবে যেকোনো মানুষকে ‘শিকার’ করছে না। টার্গেট করা হচ্ছে ‘অ্যালবিনো’ মানুষদের। জিনগত সমস্যায় যাদের গায়ের রং অস্বাভাবিক সাদা। নির্মম এ চিত্র আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়া, তানজানিয়া, মোজাম্বিক ও মালাউয়ির।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের তথ্যমতে আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি ঘেঁষা দেশগুলোয় ‘অ্যালবিনো’ প্রভাব বেশি। আর ওই অঞ্চলের অধিবাসীদের মধ্যে কুসংস্কারের হার এত বেশি যে, অ্যালবিনো সন্তান পরিবারে অনেক সময়ই অবহেলিত। সামাজিক অবহেলার শিকার হয়ে তাদের কার্যত একঘরে হয়ে থাকতে হয়।
আর অসহায় এই মানুষগুলোই শিকার হয় অন্য মানুষের লালসার। অন্ধ বিশ্বাস আছে অ্যালবিনো মানুষের হাড়ে নাকি সোনা আর নানা ওষুধি পদার্থ থাকে। তাই তাঁদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থেকে তৈরি হয় ওষুধও!
আর এই অন্ধবিশ্বাসের কারণে, অপহরণের পর বিশেষ উপায়ে কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলা হয় অ্যালবিনোদের। আর স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি হয়ে যায় তাঁদের দেহের নানা অংশ।
এসব কুসংস্কার থামাতে যে দেশগুলোর সরকার চেষ্টা করেনি তা কিন্তু নয়। আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় কঠিন নির্দেশ আছে, অ্যালবিনো-শিকারিদের ধরা গেলেই যেন সর্বোচ্চ বিচারে মৃত্যুদণ্ড হয়। কিন্তু তারপরও হামেশাই ঘটে চলছে, অ্যালবিনো শিকার।