চরমপন্থার অভিযোগে বিরোধী রুশ নেতা নাভালনির ১৯ বছরের জেল
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক ও বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনিকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। চরমপন্থার একটি মামলায় আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) তাকে এই সাজা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে পুতিনের সমালোচনাকারীদের আওয়াজ বন্ধের বিষয়টি আরও স্পস্ট হয়েছে। খবর এএফপির।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরোধীতা করে ব্যাপক বিক্ষোভের আয়োজন করেছিলেন নাভালনি। পাশাপাশি রুশ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
এদিকে, নাভালনির রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছে জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রধান ও জাতিসংঘ। নাভালনির সাজাকে খাঁটি অবিচার বলছে জার্মানি। আর রায়টিকে অগ্রহণযোগ্য বলে আখ্যা দিয়েছে ইইউ প্রধান। অন্যদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান নাভালনিকে দ্রুত মুক্তি দিতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
নাভালনির মুখপাত্র ও রুশ লেখক কিরা ইয়ারমেশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে লেখেন, ‘সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আদালত তাকে ১৯ বছরের সাজা দিয়েছেন।’
নাভালনি বর্তমানে যে জেলখানায় বন্দি রয়েছেন তার পাশেই একটি প্রেস সেন্টারে মামলার শুনানির সময়ের চিত্র সরাসরি দেখানো হয়। এএফপির সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন ও তিনি জানান, বিচারক যখন রায় পড়ছিলেন তখন ৪৭ বছর বয়সী নাভালনি হাসছিলেন এবং সরাসরি সম্প্রচারটি বন্ধ হওয়ার আগে তিনি সেখানে থাকা অন্য এক আসামিকে জড়িয়ে ধরেন।
প্রতিবেদনে এএফপি জানিয়েছে, নাভালনির বিচারটি লোকচক্ষুর আড়ালে ক্লোজ ডোরে হয়েছে। মস্কো থেকে ২৫০ কিলোমিটার পূর্বে যে জেলে নাভালনিকে রাখা হয়েছ সেখানকার আইকে-৬ প্যানেলে এই মামলার শুনানি হয়।
এদিকে, বিচার চলাকালীন সময় ওই জেলের বাইরে দুই ডজন লোককে দেখা যায়। তারা সবাই নাভালনির সমর্থক বলে জানা গেছে। জেলের বাইরে থাকাদের ধন্যবাদ জানিয়ে টেলিগ্রামে একটি পোস্ট করে নাভালনির দল।
কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টিত জেলে থাকা নাভালনি বর্তমানে নয় বছরের সাজা ভোগ করছেন। পুতিনের এই সমালোচকের সমর্থকদের দাবি, রুশ প্রেসিডেন্টকে চ্যালেঞ্জ করায় তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।