চীনের নতুন মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চীন
নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন। গতকাল সোমবার (২৮ আগস্ট) প্রকাশিত মানচিত্রে ভারতের অরুণাচল প্রদেশকে চীনের অংশে দেখা গেছে। একইসঙ্গে মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে আকসাই চীনকেও। ভারতের এই দুই অংশই শুধু নয়, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরকেও মানচিত্রে অর্ন্তভুক্ত করে নিজেদের অংশ বলে দাবি করেছে বেইজিং। মানুষকে চীনা ভূখণ্ড সম্পর্কে সচেতন করতেই নতুন এই মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। খবর দ্য হিন্দুর।
প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যমটি জানায়, ২০২৩ সালের নতুন মানচিত্রটি প্রকাশ করেছে চীনের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয়। চীনের সীমারেখা ও আন্তর্জাতিক নীতি মেনেই এই মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বলছে, ২০২৩ সালের নতুন মানচিত্র মানুষকে চীনা ভূখণ্ড সম্পর্কে সচেতন করতেই প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতের ভূখণ্ডে নিজেদের মানচিত্রে ঢুকানো চীনের জন্য নতুন নয়। গত এপ্রিলে নিজেদের মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশের ১১টি এলাকাকে সংযুক্ত করেছিল তারা। এর মধ্যে প্রদেশটির রাজধানী ইতানানগরের পার্শ্ববর্তী এলাকাও ছিল। বেইজিং ১১টি জায়গার নতুন নামও দিয়েছিল, যা নতুন মানচিত্রেও রয়েছে।
আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জি–২০ গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের ভারতে আসার কথা। তার আগেই এই মানচিত্র প্রকাশ দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের নিরিখে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
দ্য হিন্দু জানিয়েছে, চলতি বছরে চীন জরিপ ও ম্যাপিং আইনের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। এই আইনটি পাস করা হয়েছিল দেশটির প্রশাসনকে জরিপ ও মানচিত্রের কাজে অর্ন্তভুক্ত এবং শক্তিশালী করা। ২০২২ সালে একটি নতুন সীমান্ত আইন পাস করে শি প্রশাসন। এর মাধ্যমে সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও সীমান্ত এলাকার ব্যবস্থাপনা কঠোর করেছে তারা।
এদিকে, চীনের নতুন মানচিত্রের বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘নতুন নতুন মানচিত্র তৈরি ও তাতে অন্যের এলাকাজুড়ে দেওয়া চীনের পুরোনো অভ্যাস। এটা দিয়ে কিছু প্রমাণ করা যায় না।’