রাশিয়ায় পৌঁছেছে কিমকে বহনকারী ট্রেন
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে বহনকারী ট্রেন রাশিয়ায় প্রবেশ করেছে। আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা রিয়া নোভোস্তি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
রিয়া নোভোস্তি বলছে, ট্রেনটি উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ার প্রিমর্স্কি অঞ্চল পাড়ি দিয়েছে। প্রতিবেদনে ট্রেনটির কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থাটি। ওইসব ছবিতে দেখা যায়, গাঢ় সবুজ রঙের একটি ট্রেনকে রাশিয়ান রেলওয়ের লোকোমোটিভ একটি ট্র্যাকের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, আজ কিমবাহী ট্রেনটি রাশিয়ায় প্রবেশ করবে।
রাশিয়ার গণমাধ্যমগুলোর তথ্য মতে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কিম। চার বছরের মধ্যে কিমের দেশের বাইরে এটি প্রথম সফর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈঠকে সম্ভবত মস্কো উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে আর্টিলারি শেল এবং অ্যান্টিট্যাংক মিসাইল চাইবে। অন্যদিকে, উন্নত স্যাটেলাইট ও পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন প্রযুক্তি চাইবে পিয়ংইয়ং।
বর্তমানে পুতিন ভ্লাদিভোস্তোকে রয়েছেন। সেখানে একটি ইকোনোমিক ফোরামে অংশ নিবেন তিনি।
কিম-পুতিনের বৈঠক নিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘দুদেশের শীর্ষ নেতারা স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচন করবেন। প্রতিবেশী ও আমাদের দেশ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাজ করবে যা ঘোষণা বা জনসম্মুখে আনা হবে না।’
এদিকে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র সহায়তা করলে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, এই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই দুই নেতা বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন পেসকভ।
মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের সম্পর্ক নতুন নয়। উত্তর কোরিয়াকে সার্বভৌম দেশ হিসেবে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। এমনকি, আইসোলেটেড দেশটিকে কয়েক দশক ধরে সহায়তা করে আসছে মস্কো। গত ৯ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশটির শীর্ষ নেতা কিমকে শুভেচ্ছা জানান পুতিন। পাশাপাশি সর্বক্ষেত্রে পিইংইয়ংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেন আগ্রাসনের শুরু থেকেই মস্কোকে সমর্থন করে আসছে পিয়ংইয়ং। ওয়াশিংটনের দাবি, আগ্রাসনের পর থেকে রাশিয়াকে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে উত্তর কোরিয়া।