গাজায় স্থলযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন তার দেশ গাজায় সর্বাত্মক স্থলযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মিত্রদের অসুবিধায় ফেলতে ও গাজায় বাড়তে থাকা মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যেই তিনি এই পরিকল্পনার কথা জানালেন।
গতকাল বুধবার (২৫ অক্টোবর) জাতির উদ্দেশে এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার প্রান্তে চলে এসেছি।’ গত ১৯ দিন ধরে ফিলিস্তিনের হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণের মুখে হামলা বন্ধে জোড়ালো আন্তর্জাতিক আহ্বানের পরও তিনি টেলিভিশনে তার ভাষণটি দেন। খবর এএফপির।
হামাসের রক্তাক্ত হামলার পর নেতানিয়াহু জানান তার অনুসারীরা এখনও দুঃখভারাক্রান্ত ও রাগান্বিত।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা গাজা থেকে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলায় এক হাজার ৪০০ লোককে হত্যা করে। এ ছাড়া আরও প্রায় ২২২ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসে তারা। এর প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল একের পর এক বিমান হামলা চালাতে থাকে গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে।
ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইতোমধ্যে গাজায় কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। নারী ও শিশুসহ সাড়ে ছয় হাজার লোক মারা গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি বিভিন্ন সূত্র। আর অব্যাহত বোমাবর্ষণ ও চারদিক থেকে শহরটি অবরুদ্ধ করে রাখায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নেতানিয়াহু তার ভাষণে হামাসের ওপর ‘নরকের অগ্নিবৃষ্টি’র মাধ্যমে হাজার হাজার সন্ত্রাসীকে হত্যার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, তার মন্ত্রিসভা ও সামরিক বাহিনী স্থল অভিযান কখন শুরু হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্দি লোকজনকে ফিরিয়ে আনতে ও হামাসকে নির্মূল করতেই এই স্থল আক্রমণ চালানো হবে।’
এদিকে, গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলের উচিত গাজায় স্থল অভিযান শুরুর আগে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের বের করে নিয়ে আসা। তিনি বলেন, ‘এটা তাদের সিদ্ধান্ত এবং এটা আমার দাবি নয়।’ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় আরও অর্থ সহায়তা করতে কংগ্রেসের প্রতি তিনি আহ্বানও জানান।