জরাজীর্ণ নৌকায় ইন্দোনেশিয়া গেল ২৫০ রোহিঙ্গা
জরাজীর্ণ একটি কাঠের নৌকায় করে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছেছে ২৫০জন রোহিঙ্গা। দেশটির স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সেখানে পৌঁছায় মিয়ানমারের সংখ্যালঘু গোষ্ঠীটি। এর মাধ্যমে গত এক সপ্তাহে প্রায় ৬০০ রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছাল। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, রোহিঙ্গাবাহী নৌকাটি ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূলে রয়েছে। রোহিঙ্গাদের নৌকা থেকে সৈকতে নামতে প্রথমে বাধা দেয় স্থানীয়রা। ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি চেয়ে অনুনয়-বিনয় করতে দেখা যায় নৌকাতে থাকা রোহিঙ্গাদের।
মিয়ানমারে চরম নির্যাতনের শিকার মুসলিম রোহিঙ্গারা প্রতি বছর তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল সমুদ্র ভ্রমণ করে। নৌকায় করে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে তারা। আচেহ উপকূলে অবস্থান করা নৌকাটিতে থাকা কয়েকজন রোহিঙ্গা এএফপিকে জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের উপকূল থেকে এসেছে। নৌকাটিতে নারী ও শিশু রয়েছে।
আচেহ উপকূলে অবস্থিত পাউলো পিনেইয়ং মিউনআসাহ গ্রামের প্রধান মুক্তরাউদ্দীন জানান, নৌকাটি সেখান থেকে চলে যাবে এমন আশায় স্থানীয়রা রোহিঙ্গাদের খাবার সরবরাহ করেছিল। তবে, রোহিঙ্গারা আগের অবস্থান থেকে সরেনি।
এএফপি বলছে, রোহিঙ্গাবাহী নৌকাটি থেকে রাশি বেয়ে একজন পানিতে নামে। পরে সাঁতরে তিনি উপকূলে যান। খালি পায়ে ও শার্টবিহীন লোকটি উপকূলে এসে বালিতে শুয়ে পড়ে। তার শরীর ছিল নির্জীব। মুক্তরাউদ্দীন জানান, বৃহস্পতিবার আসা নৌকাটি এখনও সৈকত থেকে ১০০ মিটার দূরে রয়েছে।
নৌকাটিতে থাকা রোহিঙ্গা নাগরিক মঞ্জুর আলম বলেন, ২০ দিন আগে বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে তাদের নৌকাটি ছেড়ে আসে। নৌকাটিতে ২৪৯ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। তবে, মুক্তরাউদ্দীনের মতে, নৌকাটিতে ২৫০ থেকে ২৬০ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। মঞ্জুর আলম বলেন, ‘ ‘নৌকায় অনেক ছোট শিশু রয়েছে। দয়া করে তাদের বাঁচান। তারা খুবই ক্ষুধার্ত। তারা কিছুই খেতে পায়নি।’