ক্রিমিয়ার বন্দরে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজে ইউক্রেনের বিমান হামলা
ক্রিমিয়ার ফিওডোসিয়া বন্দরে রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ সফলভাবে ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী। রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনের বিমান হামলায় জাহাজটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইউক্রেনের দুটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) মস্কো জানিয়েছে, ক্রিমিয়ার ফিওদোসিয়া বন্দরে রাশিয়ার নৌসেনার একটি যুদ্ধবিমান নামার মতো জাহাজ দাঁড়িয়ে ছিল। যাকে মূলত ল্যান্ডিং শিপ বলা হয়। ইউক্রেনের যুদ্ধবিমান থেকে সেই জাহাজটির ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেন দাবি করেছে, জাহাজটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে।
ক্রিমিয়ার রুশ গভর্নর জানিয়েছেন, ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই হামলার পর রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে দুটি ইউক্রেনীয় যুদ্ধবিমানকে নামানো হয়েছে। তবে সেই বিমানের পাইলটদের বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। ইউক্রেন এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।
খেরসনে ট্রেন স্টেশনে হামলা
ইউক্রেনের অভিযোগ, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহরের একটি ট্রেন স্টেশনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার বাহিনী। ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। অন্তত চারজন ওই হামলায় আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটিতে করে খেরসন থেকে ১৪০ জন বেসামরিক নাগরিককে উদ্ধার করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বস্তুত, খেরসনে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের বাহিনীর এখনও তীব্র সংঘর্ষ চলছে। সে কারণেই বেসামরিক নাগরিকদের অন্যত্র সরানোর চেষ্টা চলছিল। ওই সময়েই রাশিয়ার বাহিনী স্টেশনে হামলা চালায়।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্টেশনের বাইরে পুলিশ বাহিনী রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করে। ট্রেনটি সফলভাবে রওনা হতে পেরেছে। তবে ওই নাগরিকদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা জানানো হয়নি।
ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে খেরসন শহরটি রাশিয়া দখল করে নিয়েছিল। পরবর্তীকালে শহরটি পুনরুদ্ধার করে ইউক্রেন। তবে, এখনও সেখানে লাগাতার লড়াই চলছে। রাশিয়ার বাহিনী নিয়মিত সেখানে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের।