জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে দুই মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েলের : রিপোর্ট
কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় গাজা থেকে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে হামাসকে দুই মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘অ্যাক্সিওস’ সোমবার (২২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তিটি হবে কয়েকটি পর্যায়ের। প্রথম ধাপে নারী, ৬০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং গুরুতর অসুস্থ জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে। পরবর্তী পর্যায়গুলোতে নারী সৈন্যদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হবে; ৬০ বছরের কম বয়সী বেসামরিক পুরুষ, পুরুষ সৈন্য ও মৃত জিম্মিদের দেহ ফেরত আনা হবে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেন, চুক্তির অধীনে ইসরায়েল ও হামাস আগেই ঐকমত্য হবে, প্রতিটি ধাপে ইসরায়েলি জিম্মিদের জন্য কতজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
প্রস্তাবটিতে যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত নয়, তবে এর আওতায় গাজার প্রধান শহরগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনাদের উপস্থিতি কমিয়ে আনা হবে এবং ধীরে ধীরে বিধ্বস্ত ভূখণ্ডটির উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির ওয়েবসাইট ‘ই-নেট’ জানিয়েছে, চুক্তিটি বাস্তবায়নে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে একটি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই চুক্তির বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এই প্রস্তাব নিয়ে খবর প্রকাশ হওয়ার পর মার্কিন গণমাধ্যম জানায়, নতুন জিম্মি মুক্তি চুক্তি কার্যকর করার বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সমন্বয়ক ব্রেট ম্যাকগার্ক মিসর ও কাতারের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ওই অঞ্চলে অবস্থান করছেন।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের রক্তক্ষয়ী হামলার সময় প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। ইসরায়েল বলেছে, গাজায় এখনও প্রায় ১৩২ জন জিম্মি রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২৮ জন নিহত জিম্মির মরদেহও রয়েছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা এএফপি। ৭ অক্টোবরের হামলার জবাবে ইসরায়েল নির্বিচারে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে গাজায় এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ২৯৫ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। এদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু।