ইরানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ নয় : যুক্তরাষ্ট্র
জর্ডানে ইরানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী মার্কিন ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে পেন্টাগন। তবে, ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়কারী জন কিরবি সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জন কিরবি বলেন, ‘ইরানকে কীভাবে জবাব দেওয়া হবে, তা ঠিক করবেন প্রেসিডেন্ট নিজে। কবে কীভাবে এ কাজ করা হবে, তা সম্পূর্ণ প্রেসিডেন্টের হাতে। তবে এই মুহূর্তে নতুন করে কোনো যুদ্ধে জড়াতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ইরানের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধে নামব না।’ তবে যে পরিমাণ ক্ষতি ইরানের মদতপুষ্ট গোষ্ঠী করেছে, সেভাবেই তাদের জবাব দেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।
গত রোববারের (২৮ জানুয়ারি) আক্রমণের পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ইরানকে এর জবাব দেওয়া হবে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং সাংবাদিকদের বলেন, ইরান যুদ্ধে যেতে চাইছে, এমনটা তাদের মনে হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে না গেলেও তেহরানকে যথার্থ জবাব দেওয়া হবে এবং তা অতি দ্রুতই। এদিন সিং একটি নির্দিষ্ট সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর নামও বলেছেন।
সাবরিনা সিং বলেন, ‘যারা জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়েছে, তাদের নাম কাতাইব হিজবুল্লাহ। তারা যে আক্রমণ চালিয়েছে, তাতে ইরানের মদত স্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রের হাতে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আছে।’
যদিও ইরান এই হামলায় তাদের সংশ্লিষ্টতা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। জর্ডানও জানিয়েছে, ঘটনাটি তাদের এলাকায় হয়নি। সীমান্তের অপর প্রান্তে সিরিয়ায় ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য নির্দিষ্ট করে জানিয়েছে, সীমান্তে জর্ডানের দিকে তাদের যে ঘাঁটি আছে, সেখানেই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল।
রোববার ড্রোন হামলায় নিহত সৈনিকদের পরিচয় গতকাল সোমবার প্রকাশ করেছে পেন্টাগন। নিহত সৈন্যরা মার্কিন রিজার্ভ ফোর্সের। তাদের ঘাঁটি জর্জিয়ায়। এর মধ্যে ২৪ বছর বয়সী এক নারী রয়েছেন। তার বাবা মরদেহ চিহ্নিত করেছেন। ওই নারী স্বেচ্ছায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। ওই হামলায় আহতের সংখ্যা ৪০ জনের বেশি বলে জানায় পেন্টাগন।