গাজায় মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারে ইসরায়েলের সমালোচনায় যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের জন্য ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজার দক্ষিণাঞ্চীয় জনাকীর্ণ শহর রাফায় ইসরায়েল বোমা হামলা জোরদারের পর যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার (১০ মে) দেশটির সমালোচনা করল।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এটি পর্যালোচনা করা যুক্তিসংগত যে গত সাত মাসের যুদ্ধে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সাথে অসামঞ্জপূর্ণভাবে অস্ত্রের ব্যবহার করেছে।
তবে দেশটি বলেছে, তারা এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। যদিও ইসরায়েলে পাঠানোর জন্য কিছু অস্ত্রের চালান ইতোমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেছিলেন, ইসরায়েল রাফায় অভিযান নিয়ে এগুলে তারা অস্ত্রের চালান বন্ধ করে দেবেন। এ হুমকির পর ঘনিষ্ঠ দু’দেশের সম্পর্ক প্রায় তলানিতে পৌঁছে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলেছে, রাফায় অভিযানের কারণে ইসরায়েলের সুনামগত যে ক্ষতি হবে তা তাদের সামরিক লাভের চেয়ে বেশি।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত বৃহস্পতিবার তার দৃঢ় অবস্থান ঘোষণা করে বলেছেন, ‘একা দাঁড়াতে হলে আমরা একাই দাঁড়াবো।’
এ প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অবশ্যই উদ্বেগের সাথে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। তবে আমি এটাও বলছি না যে গত ২৪ ঘন্টায় আমরা যা দেখেছি তাতে বড় ধরনের স্থল অভিযানের কোনো আভাস পাওয়া গেছে।’
যদিও সপ্তাহের প্রথম দিকে ইসরায়েলের সেনারা রাফা ক্রসিংসহ শহরের পূর্বাঞ্চলীয় অংশটি অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।
ইসরায়েল গতকাল শুক্রবারও রাফায় বোমা হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা শহরের পূর্বাঞ্চলে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে জাতিসংঘ সংস্থাগুলো বলেছে, রাফার আশপাশে ইসরায়েলের হামলার কারণে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।
বর্তমানে রাফায় ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি অস্থায়ীভাবে বাস করছে। ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে।
এর জবাবে সেদিনই ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনো চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৪ হাজার ৯৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই নিরীহ নারী ও শিশু।