অমানবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি গাজাবাসী
ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহরের একটি পরিত্যক্ত আশ্রয়স্থল ও বাস্তুহারাদের একটি শিবিরে হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া গাজার উত্তরে বেত লাহিয়াতে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও মৃতদেহের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।
এদিকে সাহায্য সংস্থা মার্সি কর্পস বলেছে, গাজার অধিবাসীরা প্রতিনিয়ত অমানবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। সংস্থাটি জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালের প্রচণ্ড তাপে গাজার এক তৃতীয়াংশ মানুষ বেঁচে থাকার জন্য ময়লা-আবর্জনা ঘাটাঘাটি করছে। খবর আলজাজিরার।
যক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা প্রধান লয়েড অস্টিন বলেছেন, তার দেশ ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে সংঘাত অবসানে জরুরি ভিত্তিতে কূটনৈতিক চুক্তিতে পৌঁছাতে কাজ করছে।
এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন না বাড়াতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার জাতিসংঘ সমন্বয়ক টর ওয়েনেসল্যান্ড বলেছেন, পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের আইনগত কোনো বৈধতা নেই এবং তা আন্তর্জাতিক আইনের পুরোপুরি লঙ্ঘন।
জাতিসংঘ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রতি ‘মৌলিক বাধ্যবাধকতা’ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। গাজা শহরের অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রধান হানি আল জা নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে জাতিসংঘ বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা বন্ধ করতে হবে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পাঁচ শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, জাতিসংঘের এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় গত সপ্তাহে না খেতে পেরে চারজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘ খাদ্য কর্মসূচির প্রধান অর্থনীতিবিদ আরিফ হোসাইন বলেছেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ লোক প্রচণ্ড ক্ষুধার মুখে পড়েছে। দুর্ভিক্ষ এড়াতে অতি দ্রুত গাজায় খাদ্য পাঠানোর আহ্বান জানান তিনি।