নিখোঁজ নারীর খোঁজ মিলল অজগরের পেটে
ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওসি প্রদেশের কালেমপাং গ্রামের বাসিন্দা ফরিদা। হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় সে। নিখোঁজের একদিন পর ফরিদার খোঁজ মিলল অজগরের পেটে। অজগরটির পেট কেটে ফরিদার মরদেহ বের করা হয়। খবর এনডিটিভির।
ফরিদার স্বামীর বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত গভীর হয়ে গেলেও স্ত্রী ফরিদা বাড়িতে না ফেরায় বেশ চিন্তিত হন তার স্বামী। বাড়ির আশপাশে খোঁজ শুরু করেন তিনি। একটা পর্যায়ে তিনি ফরিদার সঙ্গে থাকা কিছু জিনিসপত্র এক জায়গায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসব দেখে সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীদের নিয়ে খোঁজ শুরু করেন। ঘটনার একদিন পর শুক্রবার (৭ জুন) ফরিদার মরদেহ পাওয়া যায় বিশাল আকৃতির এক অজগরের পেটে।
কালেমপাং গ্রামের প্রধান সুয়ার্দি রোসি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে চার সন্তানের মা ফরিদা নিখোঁজ হন। অনেক অনুসন্ধান করে গ্রামবাসী তার কোনো খোঁজ পায়নি। ফরিদার স্বামী একটি জায়গায় স্ত্রীর ব্যবহার করা জিনিসপত্র খুঁজে পান। পরে এলাকাবাসী সে স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে একটি বড় অজগর দেখতে পায়। অজগরটি ছিল প্রায় পাঁচ মিটার (১৬ ফুট) দীর্ঘ। পরে গ্রামবাসীরা অজগরটির পেট কেটে ফরিদার মরদেহ বের করে আনে।
অজগর কোনো মানুষকে সম্পূর্ণ গিলে ফেলার ঘটনা বেশ বিরল হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইন্দোনেশিয়ায় এই সরীসৃপ প্রাণীটির আক্রমণে বেশ কয়েকজন মানুষ মারা গেছে।
গত বছর ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশের তিনাঙ্গিয়া জেলায় একটি অজগর গ্রামের এক কৃষককে পেঁচিয়ে ধরে গিলতে শুরু করে। তখন স্থানীয়রা আট মিটার লম্বা অজগরটিকে মেরে ফেললেও সেই কৃষককে বাঁচানো যায়নি।
এর আগে ২০১৮ সালে ৫৪ বছর বয়সী এক নারীকে সাত মিটার লম্বা এক অজগরের পেটে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশের মুনা শহরে এ ঘটনা ঘটেছিল।