চীনে কোথাও বন্যা কোথাও খরা, দুশ্চিন্তায় কৃষক
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/06/16/chian_thum.jpg)
আবহাওয়ার চরম প্রভাব পড়েছে চীনে। কোথাও প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা। আবার কোথাও চরম খরা। এরইমধ্যে দক্ষিণে বন্যার কারণে হাজার হাজার লোককে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে চীন। আবার তাপপ্রবাহ উত্তরাঞ্চলে খরার আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে ওই অঞ্চলের কৃষকরা দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন। দেশটির সরকার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আবহাওয়ার অপ্রত্যাশিত ঘটনায় দুর্যোগ প্রতিরোধ এবং প্রস্তুতি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যমটি তাদের প্রতিবেদনে বলছে, বন্যায় অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পরিচালিত গণমাধ্যম সিসিটিভি অনলাইন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুইলিনের একটি নদী থেকে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নদীতে পড়ে যাওয়ার দুদিন পর গতকাল শনিবার (১৫ জুন) তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গুয়াংজি অঞ্চলে ভারী বর্ষণে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে বাড়িঘর পানিতে ডুবে আছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, পূর্বের ফুজিয়ানের কিছু অংশে ভূমিধস এবং বন্যা হয়েছে। এরে ফলে ৩৬ হাজার জনগণকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2024/06/16/chaina_in.jpg)
এদিকে, রাজধানী বেইজিংসহ উত্তর চীনের বেশিরভাগ অংশ গত এক সপ্তাহ ধরে উচ্চ তাপমাত্রার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র তাপ সতর্কতা জারি করেছে। আজ সোমবারের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বেইজিং ও নিকটবর্তী অঞ্চলে এবং পশ্চিমে জিনজিয়াং ও অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে উচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) হতে পারে।
তাইওয়ানেও তাপপ্রবাহের আবহাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার তাইতুং কাউন্টির একটি শহরে তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।
প্রতিবেদনটি বলছে, এ বছর উত্তর চীনে বৃষ্টিপাতের অভাব উৎপাদন নিয়ে খামারিদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।