হজে শ্বাসযন্ত্রজনিত মৃত্যু, সেনেগালে করোনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার
হজে গিয়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের অনেকের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ছিল। এই সংক্রমণ অনেকটা করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মতো। মারা যাওয়া হাজযাত্রীদের মধ্যে সেনেগালের নাগরিকও ছিলেন। ফলে দেশটিতে করোনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। হজ থেকে ফেরার পর সেনেগালের ডাকারস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজিদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। খবর এএফপির।
সেনেগাল আজ সোমবার (২৪ জুন) বলেছে, স্বেচ্ছাসেবীদের একটি দল কোভিড স্ক্রিনিং পরীক্ষা বাস্তবায়ন করেছে। মক্কায় কিছু হজযাত্রীর মৃত্যুর কারণ ভাইরাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় হাজিদের জন্য ডাকারস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাস্ক পরা ফের বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সৌদি হিসাব অনুযায়ী, হজে গিয়ে প্রায় এক হাজার ৩০০ জন মারা গেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোববার বলেছেন, মৃতদের অনেকে কোভিড-১৯-এর মতো শ্বাসযন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ভেবেছিলাম, তাপপ্রবাহের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। কারণ, পবিত্র হজের মৌসুমে তাপমাত্রা খুব বেশি ছিল। পরে আমরা বুঝতে পারি, অনেকের মৃত্যুর জন্য শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগ দায়ী।
সেনেগালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটিতে স্বাস্থ্যবিষয়ক নজরদারি শক্তিশালী করা হয়েছে। বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং চলছে। লক্ষণ দেখা গেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দেশে মহামারি যেন না ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য মন্ত্রণালয় তাদের জনগণকে সতর্ক থাকতে ও চলাফেরায় সংযোম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলছে, শঙ্কার কোনো কারণ নেই, তবে, প্রতিরোধও করতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ১২৪ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৬ জনের পিসিআরে নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিমানবন্দরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চার্লর্স বার্নার্ড সাগনা জানান, জেদ্দায় অবস্থিত সেনেগালের স্বাস্থ্যবিষয়ক দল যখন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আক্রান্ত যাত্রীদের কথা জানিয়েছিল, তখন থেকেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।