ডানপন্থিদের পরাজয়ে অনিশ্চয়তা থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজছে ফ্রান্স
ফ্রান্সের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে বামপন্থিরা অতি-ডানপন্থিদের পরাজিত করলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দলই। আর এ কারণে গত কয়েক যুগের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে পড়া দেশটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ কী উদ্যোগ নেন সেদিকেই এখন সবার দৃষ্টি। খবর এএফপির।
প্যারিস অলিম্পিকের তিন সপ্তাহ আগে ফ্রান্সের এই আইনসভা বা পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে কোনো দলই সরকার গঠনের জন্য পরিষ্কারভাবে কোনো দিকনির্দেশনা দিতে পারছে না। যদিও দেশটির রাজনৈতিক কাঠামো পুনর্গঠনে নির্ধারিত সময়ের তিন বছর আগে নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।
আজ সোমবার (৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আত্তাল প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর কাছে তার পদত্যাগপত্র পেশ করতে যাচ্ছেন। তবে অনিশ্চিত এই পরিস্থিতিতে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য নিজের প্রস্তুতির কথাও জানাবেন।
নতুন পার্লামেন্টে বামপন্থিরা সবচেয়ে বড় দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে তবে এখনো তারা ঠিক করতে পারেনি তাদের দল থেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী কে হতে পারেন।
তাই ওয়াশিংটনে ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে এক সপ্তাহের জন্য প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে থেকেই এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্যেই পড়ছে ফ্রান্স। যদিও ম্যাক্রোঁ চেয়েছিলেন পরিস্থিতির পরিষ্কার একটি চিত্র কিন্তু এখন ফ্রান্সে বিরাজ করছে পুরোপুরি অনিশ্চয়তা, যেন ঘন কুয়াশায় ঢাকা চারদিক।
নির্বাচনি ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে বামপন্থি নিউ পপুলার ফ্রন্ট নতুন পার্লামেন্টে ১৭৭ থেকে ১৯৮টি আসন নিয়ে সবচেয়ে বড় জোট হতে যাচ্ছে। এরপর ম্যাক্রোর জোট পাচ্ছে ১৫২ থেকে ১৬৯টি আসন। আর ডানপন্থি ন্যাশনাল র্যালি পেতে যাচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪৫টি আসন।
তাই ৫৭৭ আসনের জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৮৯টি আসন কোনো দল বা জোটই এককভাবে পাচ্ছে না। আর একারণে কারা সরকারে আসতে পারে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা সহসাই কাটছে না।