পশ্চিম তীরে সাংবাদিকরা ইসরায়েলি হামলার শিকার : জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
অধিকৃত পশ্চিম তীরে সাংবাদিকরা ইসরায়েলি বাহিনীর ‘হামলা ও হয়রানির শিকার’ হচ্ছেন। জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা ‘যুদ্ধাপরাধ’ নিয়ে সংবাদ তৈরি বন্ধের প্রচেষ্টা চালানোয় ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছে। খবর এএফপির।
আগস্টের শেষে দিকে ইসরাইল পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আগ্রাসন শুরু করে এবং সেখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি আইরিন খান এবং ফ্রান্সেসকা আলবানিজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই মাসে জেনিন এবং তুলকারেম শহরে তিনটি ঘটনায় ইসরাইলি সেনারা ‘সাংবাদিক বা তাদের যানবাহন’ লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এ সময় সেখানে সাংবাদিকরা সামরিক অভিযান এবং বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিল।
ইসরাইলি বাহিনী জেনিন ও তুলকারেমে বিভিন্ন শরণার্থী শিবির লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তাদের দাবি এসব এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো অত্যন্ত সক্রিয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেস জ্যাকেট পরা সত্ত্বেও সেখানে ইসরাইলি হামলায় চারজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ৩ সেপ্টেম্বর জেনিনে এমন একটি ঘটনা এএফপির এক সাংবাদিক প্রত্যক্ষ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘আমরা বেআইনিভাবে দখলকৃত পশ্চিম তীরে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হয়রানির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, যা সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধমূলক প্রতিবেদন তৈরিতে বাধা দেওয়ার জন্য ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অমার্জিত প্রচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে পশ্চিম তীরে ২৯ জন সাংবাদিককে ইসরাইলি বাহিনী আটক করেছে। এ সময়ে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
ইসরাইল ১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে এবং গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার মধ্যদিয়ে গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে ইসরাইল ব্যাপক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এবং বসতি স্থাপনকারীদের হাতে পশ্চিম তীরে কমপক্ষে ৬৬৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলি কর্মকর্তারা জানান, একই সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধাদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীসহ অন্তত ২৪ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।