বাংলাদেশের কাছে কী চায় ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর
গণবিপ্লবের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতের দিল্লিতে পালিয়ে যান স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। এরপর ভারতবিদ্বেষ জেঁকে বসে জনমনে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে ভিসা সেন্টার বন্ধ রাখে দেশটি। পরে স্বল্প পরিসরে চালু হলেও স্বাভাবিক নয় বলে দাবি অনেকের। এমন এক অবস্থায় আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিতে বাংলাদেশ বিষয়ে মুখ খুললেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বললেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তারা আগের মতো সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চান।
এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জয়শঙ্কর বলেন, প্রতিবেশি দেশগুলো একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। এই সাক্ষাতকারে তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারতের ভূমিকা, গাজা বিষয়ে ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনি, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির প্রথম ১০০ দিনের বিষয়েও কথা বলেন।
এনডিটিভির বরাতে ভারতীয় আরেকটি গণমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেছেন, দেশটিতে কী ঘটেছে তা তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশি। আমাদের দিক দিয়ে আমরা আগের মতোই সম্পর্ক রেখে চলতে চায়। দুদেশের মধ্যে ভালো বাণিজ্য আছে...জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক আছে...আমি এভাবেই সম্পর্ক রাখতে চাই।
গত ৫ আগস্ট দিল্লিতে পালিয়ে যাওয়ার পরদিন জয়শঙ্কর শেখ হাসিনা সম্পর্কে সর্বদলীয় বৈঠকের পর সংসদে দেওয়া বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর প্রধানমন্ত্রী হাসিনা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। খুব কম সময়ের নোটিশে তিনি সেই মুহূর্তে ভারতে আসার অনুমোদন দেওয়ার অনুরোধ করেন। তার বিমান ভারতে আসার অনুমোদন চাওয়া হয়। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি দিল্লিতে এসে পৌঁছান।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্রিটিশ হোম অফিস জানিয়েছে, তাদের নিয়মনীতি অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে আশ্রয় বা অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয় না। এরপর থেকে ভারতেই আছেন তিনি। তবে, দেশটির পক্ষ থেকে তার অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি।