পাকিস্তানে পুলিশ-পিটিআই সংঘর্ষ, টিয়ারশেল-রাবার বুলেট নিক্ষেপ
পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর ওপর টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেশটির রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করার চেষ্টার সময় এ ঘটনা ঘটে। খবর এএফপির।
ইসলামাবাদের পশ্চিমাঞ্চলে লাঠিসোঁটা ও গুলতি নিয়ে সশস্ত্র বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। দেশটির সরকার জানায়, গত দুই দিনের সংঘর্ষে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
ইমরান খানকে গত ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে দাঁড়াতে বাধা দেওয়া হয়। এ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। ইমরান খান অভিযোগ করেন, নির্বাচনে তাকে প্রতিহত করতে বিভিন্ন মামলা দেওয়া হয়েছে। তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের দমন-পীড়নের মধ্যেই ইসলামাবাদ এবং অন্যান্য বড় শহরগুলোতে জনসমাগম করার লক্ষ্যে নিয়মিত বিক্ষোভ করছে।
গত শনিবারের পর থেকে রাজধানীতে ব্যাপক বিক্ষোভ করা হচ্ছে। শহরে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা কয়েকবার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং ঢাল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সজ্জিত ২০ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য সড়কে নামানো হয়েছে। গত সপ্তাহে ইসলামাবাদ নগর প্রশাসন জনসমাবেশের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। কিন্তু পিটিআইয়ের বিক্ষুব্ধ কর্মীদের বহর তাদের শক্ত ঘাঁটি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া ও পাঞ্জাব প্রদেশে থেকে রাজধানীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
৫৬ বছর বয়সী বিক্ষোভকারী কালাত খান সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা সরকারের প্রতি গভীরভাবে হতাশ। তারা জানে না কীভাবে কাজ করতে হয়। আমাদের সঙ্গে যেমন আচরণ করা হচ্ছে, তা অন্যায্য ও কষ্টদায়ক।’
মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বিভ্রাটের জন্য ‘নিরাপত্তাজনিত কারণ’ উল্লেখ করেছে সরকার। এ ছাড়া ইসলামাবাদের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সোমবার এবং মঙ্গলবার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি সোমবার (২৫ নভেম্বর) গভীর রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ইসলামাবাদে সরকারি ভবনের বাইরের ডি-চক পিটিআই দখল করতে চায়। এখানে যারা আসবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।