পাকিস্তানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পিছু হটল পিটিআই
পাকিস্তানে দিনভর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) শীর্ষ নেতা ও কর্মী-সমর্থকরা আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) ভোরে রাজধানী ইসলামাবাদের রেড জোন এলাকায় প্রবেশ না করে পিছিয়ে এসেছেন।
দেশটিতে তিন দিনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে পুলিশসহ এ পর্যন্ত ছয়জনের প্রাণহানির সংবাদ পাওয়া গেছে। সরকারি কর্মকর্তা ও হাসপাতাল সূত্রে এই তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ডনের।
এদিকে আজ বুধবার ভোররাতে পিটিআইয়ের শীর্ষনেতা ও ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর রোজধানীর উপকণ্ঠে তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। বিক্ষোভকারীদের ‘বাড়ি যান, রাতের খাবার খান এবং আগামীকাল আবার ফিরে আসুন’ বলার পরপর তারাও সেখান থেকে সরে পড়েন। তবে বুশরা বিবি, গান্দাপুর ও পিটিআইয়ের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা এখন কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তথ্যমন্ত্রী আতা তারার দাবি করেছেন, দলটির নেতারা হরিপুর হয়ে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ফিরে গেছেন। এদিকে, যে কন্টেইনারে করে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন সেটিতে পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পিটিআইয়ের দুই শীর্ষ নেতা রেড জোন থেকে ‘পালিয়ে গেছেন’। তবে তারা কোথায় গেছেন বা তাদের সম্ভাব্য গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।
এদিকে, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পিটিআই সমর্থকদের এক্সপ্রেস চৌক এলাকা থেকে সরিয়ে দিতে ব্যাপক অভিযান শুরু করে পুলিশ ও সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী। ওই এলাকা থেকে অল্প দূরত্বে অবস্থিত ডি-চৌক এলাকায় পিটিআইয়ের প্রতিবাদ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
বিক্ষোভকারীদের সরকার ঘোষিত ব্লু জোন ও জিন্নাহ এভিনিউ থেকে সরিয়ে দিতে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক গ্রেপ্তার অভিযান চালায় বলে জানা গেছে। তবে ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়েছে, তা পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।
রাতে জিন্নাহ এভিনিউ ও আশপাশের এলাকার রাস্তার বাতিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এং রাস্তার দুইপাশে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশকে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
এদিকে, রেড জোন থেকে পিটিআই সমর্থকরা সরে আসার পরপর তথ্যমন্ত্রী আতা তারার অভিযোগ করেন, ইমরান সমর্থকরা পার্লামেন্ট ভবনে হামলার পরিকল্পনা করেছিল।