ভারতসহ কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোইট হাউসে প্রবেশের আগেই হুঁশিয়ারি দিল ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশকে। দেশগুলো ভেবেছিল, তারা নতুন মুদ্রা তৈরি করবে। তাদের সেই চিন্তার বিপরীতে ট্রাম্পের হুংকার—নতুন মুদ্রা তৈরির চেষ্টা করলেই মুখোমুখি হতে হবে শতভাগ শুল্কের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ শনিবার ট্রাম্প এই হুঁশিয়ারি দেন।
ব্রিকসভুক্ত অন্য দেশগুলো হলো—রাশিয়া, চীন, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১১ সাল থেকে পাঁচটি দেশ নিয়ে এগোলেও এ বছর নতুন করে যোগ দিয়েছে ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া এবং মিশর। পরে তা বিশ্ব দরবারের নজর কাড়ে। বর্তমানে ৩৪টি দেশ ব্রিকসে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ফলে ব্রিকস এখন বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে একটি শক্তিশালী জোট হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা ২০২৩ সালে দক্ষিণ আমেরিকার জন্য একটি সাধারণ মুদ্রা তৈরির প্রস্তাব দেন, যাতে মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমানো যায়। তবে, ব্রিকস দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পার্থক্য থাকার কারণে নতুন মুদ্রা তৈরি এখনও অনিশ্চিত বলে মনে হচ্ছে। এরইমধ্যে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি এলো। তিনি ট্রুথ সোশ্যাল লেখেন, ব্রিকস দেশগুলোর মার্কিন ডলারের বিকল্প হিসেবে নতুন মুদ্রা তৈরির যে চেষ্টা চলছে, তা এখন আর চলতে দেওয়া হবে না। এই দেশগুলোকে অবশ্যই ঘোষণা করতে হবে যে তারা নতুন মুদ্রা তৈরি করবে না, অথবা অন্য কোনো মুদ্রা দিয়ে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে অর্থনৈতিক লেনদেন করবে না। যদি তারা তা না মানে, তবে তাদের জন্য শতভাগ শুল্ক আরোপ করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের সুযোগ তারা হারিয়ে ফেলবে।
ট্রাম্পের হুমকি তার আগের মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে তিনি মেক্সিকো, কানাডা ও চীন থেকে আমদানির ওপর বড় ধরনের শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন। এই শুল্ক বৃদ্ধির পেছনে যুক্তি হিসেবে তিনি অভিবাসন এবং সীমান্তে অপরাধ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এসব তথ্যের পাশাপাশি আরও জানিয়েছে, অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এই নতুন মুদ্রা গঠনের সুযোগ কম। তবে এর মাধ্যমে রাশিয়া, চীন এবং ইরানের মতো দেশগুলো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো অতিক্রমের সুযোগ পাবে। তবে, চীন ও রাশিয়া এই উদ্যোগকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখছে এবং সম্প্রতি তাদের বৈঠকে পশ্চিমা বিশ্বকে একঘরে করার চেষ্টা করা হয়েছে।