যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য উইসকনসিনের একটি স্কুলে এক কিশোরীর গুলিবর্ষণে দুজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এ ঘটনার পর ওই কিশোরীকেও মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। খবর এএফপির।
এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজ্যটির রাজধানী ম্যাডিসনের পুলিশ প্রধান শন বার্নস জানান, অ্যাবানডান্ট লাইফ ক্রিশ্চিয়ান স্কুল নামের ওই স্কুলে গুলিবর্ষণে একজন শিক্ষক ও একজন কিশোর বয়সী শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। পাঁচ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয় স্কুলটিতে। প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীর ওই স্কুলটিতে গোলাগুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন কিশোরীর প্রকৃত বয়স বা পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলোতে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী। এ ঘটনায় মারাত্মক আহত দুই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং আরও তিনজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ম্যাডিসনের পুলিশ প্রধান শন বার্নস জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি হ্যান্ডগান উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন শিক্ষার্থীর পরিবার পুলিশকে তদন্তকাজে সহযোগিতা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে বন্দুক হামলায় সাম্প্রতিক নজির এ ঘটনা। দেশটিতে ব্যবহার করা বন্দুকের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। বহু বছর ধরে চলে আসা রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার সীমিত করার মতো বিষয়টি এখনও সেখানে কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে শন বার্নস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মনে হয়, সবাই একটি বিষয়ে নিজেদের সম্মতি নিয়ে বলতে পারি, অনেক হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতি সমর্থন জানাতে আমদের এক হওয়া উচিত। আজকের মতো এমন সংবাদ সম্মেলন যেন আর বারবার না করতে হয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গোলাগুলির ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এটিকে অকল্পনীয় ও হতবাক করার মতো বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘটনা কঠোর আগ্নেয়াস্ত্র আইনের প্রয়োজনীয়তাকেই তুলে ধরেছে।
এক বিবৃতিতে জো বাইডেন বলেন, ‘এটা অগ্রহণযোগ্য যে আমরা আমাদের সন্তানদের বন্দুক সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারছি না। এটিকে সাধারণ ঘটনা হিসেবে মেনে নিতে পারি না আমরা। এ বিষয়ে কংগ্রেসকে অবশ্যই এখন থেকেই কাজ করতে হবে।’