তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত
চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৩০ জনের বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শক্তিশালী নেপাল, ভারত, ভুটান ও বাংলাদেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে হিমালয় পর্বতমালায় ছয় দশমিক আট মাত্রার ভূমিকম্পে বেশ কয়েকজন মানুষ নিহত হয়েছেন। যদিও কোনো কোনো গণমাধ্যম এই মাত্রাকে আরও বেশি বলে জনিয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা-ইউএসজিএস বলছে, নেপাল সীমান্তের কাছে তিব্বতের জিজাংয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল সাত দশমিক এক মাত্রার।
চীনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তিব্বতের শিগাতস শহর এবং এর আশেপাশে কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, ‘স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতের ভূমিকম্প ব্যুরো থেকে একজন প্রতিবেদক নিহতের বিষয়ে জানতে পেরেছেন।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) গভীরতায়, তবে পূর্বের অনুমান ছয় দশমিক ৯ থেকে মাত্রা কমিয়ে আনা হয়েছে।
সিনহুয়ার প্রতিবেদক আরও বলেছেন, সকাল ১০টা নাগাদ ‘একাধিক আফটারশক’ রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টির মাত্রা ছিল চার দশমিক চার।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ডিংরি কাউন্টি এবং এর আশেপাশের এলাকায় খুব শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে এবং ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি অনেক ভবন ধসে পড়েছে।
ভিডিও ফুটেজে বার্তা সংস্থা রয়টার্স দেখেছে, শিগাতসে এবং লাতসের বৃহত্তর শহরগুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন এবং ভেঙে পড়া দোকানের সামনের অংশ দেখা গেছে এবং ধ্বংসাবশেষ রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছে।
২০১৫ সালে নেপালে সাত দশমিক আট মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৯ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। দেশটির সীমান্তের কাছে এবারের ভূমিকম্পটি তাই সেখানের নাগরিকদের জন্য ছিল ভয়ের কারণ। প্রতিবেদন বলছে, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মাইল) দূরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, যেখানে বাসিন্দারা তাদের ঘরবাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।
নেপালের সোলুখুম্বু জেলার প্রধান জেলা কর্মকর্তা অনোজ রাজ ঘিমিরে বলেন, আমরা খুব শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভব করেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাইনি।