কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১২ শান্তিরক্ষী নিহত
মধ্য আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে (ডিআরসি) সংঘর্ষে অন্তত ১২ শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন মনুসকোর দুই সদস্যও রয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
উত্তর কিভু প্রদেশের রাজধানী গোমা শহরে এম-২৩ বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রা থামাতে গত কয়েকদিন ধরে কঙ্গোর সেনাবাহিনী ও শান্তিরক্ষীরা লড়াই করে আসছে।
ডিআরসির খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলে তিন বছর ধরে চলমান এম-২৩ বিদ্রোহ জানুয়ারিতে আরও তীব্র আকার ধারণ করে। বিদ্রোহীরা নতুন নতুন এলাকা দখল করায় জাতিসংঘ একটি বড় আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত এম-২৩ বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ৯ সেনা নিহত হয়েছে বলে দক্ষিণ আফ্রিকার সশস্ত্র বাহিনী গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, দুজন দক্ষিণ আফ্রিকান সেনা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে এবং বাকি সাতজন ডিআরসিতে দক্ষিণ আফ্রিকার আঞ্চলিক ব্লকের বাহিনীতে মোতায়েন ছিলেন। তারা দুই দিনের তীব্র লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সেনারা সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে গোমার দিকে বিদ্রোহীদের অগ্রসর হওয়া ঠেকিয়েছেন।’ আরও বলা হয়, এম-২৩ বিদ্রোহীদের পিছু হটতে বাধ্য করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, শুক্রবার জাতিসংঘের দুজন সেনা নিহত হয়েছেন।
মালাওয়ির সামরিক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, তাদের শান্তিরক্ষা বাহিনীর তিন সদস্য এম-২৩ বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন।
সামরিক মুখপাত্র ইমানুয়েল এমলেলেম্বা বলেন, ‘আমাদের সাহসী তিনজন সেনা নিহত হয়েছেন, যারা ডিআরসিতে সদাক মিশনের অংশ ছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, এই সেনারা এম-২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে দায়িত্ব পালনের সময় প্রাণ হারিয়েছেন। পরিস্থিতি এখনও অস্থিতিশীল রয়েছে, বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
এম-২৩ বা মার্চ-২৩ মুভমেন্ট হলো একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী, যারা ১০ বছর আগে কঙ্গোর সেনাবাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ২০২২ সালে নতুন করে সক্রিয় হওয়ার পর থেকে এম-২৩ দেশটির পূর্বাঞ্চলে ক্রমাগত আধিপত্য বিস্তার করছে।
ডিআরসি ও জাতিসংঘ অভিযোগ করেছে, এম-২৩ বিদ্রোহীদের লোকবল ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে রুয়ান্ডা। তবে রুয়ান্ডা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।