ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না থাকলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয় : সৌদি আরব
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক পর্যায়ে নামিয়ে আনবে না সৌদি আরব। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এক মন্তব্যের জবাবে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এমনটাই জানিয়েয়েছে উপসাগরীয় প্রভাবশালী দেশটি। এর আগে নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন, তিনি মনে করেন তার দেশের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে। খবর এএফপির।
আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাবে সৌদি আরব। সেটি না হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই অবস্থানে উপসাগরীয় এই দেশটির অবস্থান অনড় ও অটল এবং এক্ষেত্রে কোনো সমঝোতার সুযোগ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার পূর্বসূরী জো বাইডেন দুজনই তাদের পররাষ্ট্র নীতিতে ইসরায়েল ও সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে আসছিলেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আজ বলেছিলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সম্ভাবনার পথে নয়, বরং এটি ঘটতে চলেছে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ও দীর্ঘদিনের সমর্থিত দ্বি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থি সরকার বেশ শক্তভাবে বিরোধিতা করে আসছে।
আজ হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশাপাশি বক্তব্য দেন নেতানিয়াহু। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরক্কো ও বাহরাইনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে ইসরায়েল। পরে আশাবাদ প্রকাশ করা হয় যে আরব বিশ্বের সবচেয়ে বিত্তশালী অর্থনীতির দেশ সৌদি আরবের সঙ্গেও সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে দেশটি।
সৌদি আরব ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না, তবে ২০২০ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি ও বেসরকারি পারমাণবিক কর্মসূচির বিনিময়ে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা নিয়েছিল।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক প্রস্তাব রেখে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখলে নেবে ও সেখানকার ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে মিসর বা জর্ডানে সরিয়ে নেওয়া হবে।
ট্রাম্পের এমন প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকারের বিরুদ্ধে যায় এমন যেকোনো পদক্ষেপের বিষয় দেশটি বাতিল করে দিচ্ছে। ইসরায়েলি বসতি স্থাপন, ভূখণ্ড জবরদখল ও ফিলিস্তিনিদের তাদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের মতো বিষয়গুলোতে সৌদি আরব কোনোভাবেই সায় দেবে না।