প্রধান বিচারপতি বললেন

‘বইটি পড়ে আবার সব কিছু দৃশ্যপটে ভেসে উঠছে’

Looks like you've blocked notifications!
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের লেখা ‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্র : বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও অন্য অতিথিরা। ছবি : সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ওপর বিচারপতির বই লেখা অনেক গৌরবের বিষয়। গতকাল রাতে যখন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের এ বইটি পড়ি সেখানে দেখলাম তিনি অনেক এভিডেন্স কোট করেছেন সংক্ষিপ্তভাবে। আমরা আদালতে প্রত্যেক এভিডেন্স টপ টু বটম পড়েছি। বইয়ে আমার আবার স্মৃতিচারণার মতো মনে হলো যে- মুক্তিযুদ্ধের আবার সব কিছু দৃশ্যপটে ভেসে উঠছে।’

আজ  বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জাজেস কর্নারে হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের লেখা ‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্র : বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের পরিচালায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের পদমর্যাদায় থাকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। 

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘তিনি মুক্তিযুদ্ধকে প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আপনজনদের নিকট থেকে স্বজন হারানো বেদনাবিদুর ও লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড এবং অপহরণের ঘটনা সম্যক অবহিত হন। যা তাঁর গ্রন্থ রচনায় উৎসারিত ও অনুপ্রাণিত করেছে। তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্র পরিস্ফূটিত হয়েছে। এটা যেকোনো পাঠকের হৃদয়কে স্পর্শ করবে।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বর্তমান এবং আগামী প্রজন্ম তাঁর এ গ্রন্থ থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী রাজাকার আলবদর ও তাদের দোসরদের নির্যাতন এবং বর্বরতার ভয়াবহ চিত্র সম্পর্কে জানতে পারবে।’

শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচাররের সঙ্গে আমিও একজন বিচারক ছিলাম আপিল বিভাগে। গতকাল রাতে যখন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের এ বইটি পড়ি সেখানে দেখলাম তিনি অনেক এভিডেন্স কোট করেছেন সংক্ষিপ্তভাবে। আমরা আদালতে প্রত্যেক এভিডেন্স টপ টু বটম পড়েছি। বইয়ে আমার আবার স্মৃতিচারণার মতো মনে হলো যে-আবার সব কিছু দৃশ্যপটে ভেসে উঠছে।’ তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ওপর একজন বিচারপতির লেখা বই, এটা আমাদের জন্য একটা গৌরবের।’