যশোরে দুই দিনব্যাপী পূর্বপশ্চিম সাহিত্য উৎসব শুরু
দেশ ও বিদেশের কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলার মধ্যদিয়ে যশোরে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী পূর্বপশ্চিম সাহিত্য উৎসব। আজ শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে শহরের রামনগরে অবস্থিত আরআরএফ টার্কে এ উৎসব শুরু হয়।
উৎসবের উদ্বোধন করেন দেশবরেণ্য কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক সভাপতি ও মহাপরিচালক কবি ও প্রাবন্ধিক মোহাম্মদ হারুন উর-রশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, হোসেনউদ্দিন হোসেন, কবি আসান মান্নান ও কবি জাহিদুল হক।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নেপালের সাহিত্যিক ভীশ্মা উপ্রেত। সভাপতিত্ব করেন পূর্বপশ্চিম সম্পাদক আশরাফ জুয়েল। সম্পাদকের বক্তব্য দেন অমিত গোস্বামী ও ইকবাল রাশেদীন।
স্বাগত বক্তব্যে পূর্বপশ্চিমের নির্বাহী সম্পাদক খায়রুল কবীর চঞ্চল বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পূর্বপশ্চিম বাংলাভাষার শিল্প-সাহিত্য বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ-ভারতে নিয়মিত পত্রিকা প্রকাশ ও সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’
উৎসবে উপস্থিত ছিলেন কবি মতিন বৈরাগী, শিশুসাহিত্যিক শ ম শামসুল আলম, কবি ফিরোজ আহমেদ, পূর্বপশ্চিমের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কবি উজ্জ্বল চৌধুরী, কবি সৈয়দ আহসান কবীর, শিশুসাহিত্যিক মিলন রহমান, কবি আরশি গাইন, গল্পকার মামুন আজাদ প্রমুখ।
উদ্বোধনীপর্ব শেষে দ্বিতীয় সেশনে কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাজেদ নেওয়াজ। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন সানাউল হক, প্রভাতরঞ্জন ভট্টাচার্য, নয়ন বিশ্বাস, নাবিল মান্দার, রকি মাহমুদ, মাহবুবা ফারুক, সৌমিত্র দেব, ইকবাল হোসেন শিকদার, নিজাম মণ্ডল, সালাম তাসির, তৃষা চামেলী, শিউলী দাস, মো. আবু জাহিদ ও অনুপ চণ্ডাল।
তৃতীয় সেশন গল্প পাঠ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক পাভেল চৌধুরী। গল্প পাঠ করেন মাসুদ আহমদ, ময়নুল হাসান, মামুন আজাদ, মমতাজ উদ্দিন, শ্বাশত নিন ও মিলন রহমান।
অপরাহ্নে চতুর্থ সেশন-কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দারা মাহমুদ। কবিতা পাঠে অংশ নেন আমিনুল ইসলাম, আরিফুল হক কুমার, ইবাইস আমান, সৈয়দ আহসান কবীর, তাহমিনা শিল্পী, সঞ্জয় গুহ ঠাকুরতা, বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, আরশি গাইন, অর্ক দাশগুপ্ত, আশামনি, মনিরুজ্জামান, আলী আজগর রাজা, জাহিদ আক্কাস, টিপু সুলতান ও মাহবুব শাহরিয়ার।
পঞ্চম সেশনে সাহিত্য রাজনীতি বন্ধে লিটল ম্যাগাজিনের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন অনিকেত শামীম। আলোচক ছিলেন—পাবলো শাহী, রাজা সহিদুল আসলাম, সিরাজী কবির খোকন, গাজী মো. মাহবুব মুর্শিদ ও মন্দিরা এষ।
সন্ধ্যায় ষষ্ঠ সেশনে বাচিকশিল্পী মাসুম আজিজুল বাশার, শ্রাবণী সুলতানা, দূর্বাদল বিশ্বাস, জাহিদুল হক যাদু, শাহেদ, নওয়াজ, নাজমুন নাহার রিনু, কাজী মামুন, নাজনীন সুলতানা, কাজল ইসলাম আবৃত্তি পরিবেশন করেন।
সন্ধ্যার পর সপ্তম সেশনে ছোটগল্পের ভবিষ্যৎ ও বিশ্বপাঠকের অবস্থান শীর্ষক আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন আনোয়ারা সৈয়দ হক। আলোচক ছিলেন কামরুজ্জামান আজাদ, মুজতবা আহমেদ মুর্শেদ, মঞ্জুর রাজু, রুমা মোদক, সোলায়মান সুমন ও আনিফ রুবেদ।
অষ্টম সেশনে কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবলো শাহী। কবিতাপাঠে অংশ নেন প্রভাষ মল্লিক, মোকাম আলী খান, শাহজাহান কবীর, শাহরিয়ার সোহেল, তিয়াসা গুহ ঠাকুরতা, সুমন রেজা, সৌমেন্দ্র গোস্বামী, রেজা মণ্ডল, কামরুজ্জামান সাদ কামাল, শাহ আরিফ রহমান, মানবেন্দ্র সাহা, অনিক মাযহার ও রাজপথিক।
শেষে বাউল সংগীত পরিবেশিত হয়। আয়োজকরা জানান, এই উৎসবে চারজনকে পূর্বপশ্চিম সাহিত্য সম্মাননা ২০২২ এবং তিনজনকে পূর্বপশ্চিম সাহিত্য পুরস্কার ২০২২ প্রদান করা হবে।