ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : সংগৃহীত

বাঙালির ভোজনরসিকতার খবর কমবেশি সবারই জানা আছে। এই খাবারের সঙ্গে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সম্পর্ক নিবিড়। বিশেষ করে ঢাকাইয়া খাবারের ইতিহাস বেশ পুরোনো। আর পুরান ঢাকার খাবারের সুনাম তো জগৎজোড়া।

এবার ঢাকাইয়া খাবার নিয়ে রচিত হয়েছে ‘ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি’ নামের বই।

প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত এই বইটি লিখেছেন সাদ উর রহমান। গতকাল বুধবার বিকেলে শাহবাগ কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে বইটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম এমপি। অতিথি ছিলেন ঢাকা কেন্দ্রের সভাপতি আজিম বখ্শ, বিক্রমপুর জাদুঘরের কিউরেটর অধ্যাপক মো. শাহজাহান মিয়া।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্যর প্রধান নির্বাহী ও স্বত্বাধিকারী আরিফুর রহমান নাইম। অনুভূতি ব্যক্ত করেন বইটির লেখক গবেষক সাদ উর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ঢাকার ঐতিহ্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। সেই ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ার সময়ে একটি অনন্য সংযোজন ‘ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি’ বইটি। লেখক বইয়ে বিভিন্ন খাবারের বর্ণনার পাশাপাশি সেগুলোর আভিধানিক ইতিহাসেরও বর্ণনা দিয়েছেন। যেমন—বিরিয়ানি বা কালিয়ার কথা বলতে গিয়ে এই শব্দগুলো কোথা থেকে কীভাবে এসেছে, সেই বিষয়গুলোও তুলে ধরেছেন। তিনি বইটির সাফল্য কামনা করে আগামীতে আরো এ ধরনের গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অধ্যাপক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, শিল্পীর চিত্রকর্ম যেমন মানুষের চোখকে আকর্ষিত করে, তেমনি ভালো কোনো খাবারেও তৃপ্ত হয় আত্মা। লুপ্তপ্রায় ঢাকাই খাবারের তালিকা ও রন্ধন প্রণালি বইটিতে যুক্ত হওয়ায় হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেল খাবারগুলো।

আজিম বখ্শ বলেন, ঢাকার ঐতিহ্যকে বজায় রাখতে হলে ঢাকাই খাবারকেও রাখতে হবে।

লেখক সাদ উর রহমান তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘দীর্ঘ আড়াই বছরের পরিশ্রমের ফসল এই বই। ঢাকার বিলুপ্ত প্রায় খাবারগুলোকে এ বইয়ের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’

২৪৮ পৃষ্ঠার ‘ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি’ বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ৪৫০ টাকা। প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ।