বৃষ্টির দিনে বৃষ্টির সিনেমা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/06/11/photo-1434006639.jpg)
বাইরে ঘন কালো মেঘ, ঝুমবৃষ্টি। যদি তাড়া না থাকে, অফিস না থাকে, তাহলে দিনটা বৃষ্টির জন্য উৎসর্গ করাই যায়। সুমনের মতো গেয়ে উঠতে পারেন—এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই। বৃষ্টিবিলাসের জন্য দুপুরের মেন্যুতে ইলিশ-খিচুড়ির বন্দোবস্ত না হয় হলো। কিন্তু এরপর, সারাদিন কাটবে কীভাবে? ছবি দেখা যেতে পারে। কী ছবি? সেটা আপনাকে আর কষ্ট করে খুঁজতে হবে না। আমরা কিছুর ছবির নাম বলে দিচ্ছি, যেগুলো দেখে বৃষ্টির দিনটিকে আরো বেশি উপভোগ করতে পারবেন।
১. মেঘমল্লার
মুক্তিযুদ্ধের ছবি ‘মেঘমল্লার’। বৃষ্টির ছবি ‘মেঘমল্লার’। গত বছরের ছবি। সরকারি অনুদান এবং বেঙ্গল এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড প্রযোজিত এই ছবি নির্মিত হয়েছে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ছোটগল্প ‘রেইনকোট’ অবলম্বনে। এর নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন। মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম ও অপর্ণা ঘোষ। গল্পের মূল চরিত্র নুরুল হুদা মফস্বলের একজন কলেজশিক্ষক। এক বৃষ্টির দিনে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে বন্দী হন তিনি। ঘরে তাঁর অপেক্ষায় স্ত্রী আসমা এবং পাঁচ বছরের মেয়ে সুধা। নির্যাতন, অত্যাচারে বৃষ্টির দিনগুলো অসহ্য হয়ে ওঠে নুরুল হুদার কাছে। সেও হয়ে ওঠে একজন মুক্তিযোদ্ধা। মৃত্যুর আগে তাঁর কণ্ঠে উচ্চারিত হয় ‘জয় বাংলা’।
২. হঠাৎ বৃষ্টি
এই ছবি দেখেননি, এমন বাঙালি ইদানীংকালে খুঁজে পাওয়া একটু দুষ্কর। কলকাতার বাসু চ্যাটার্জির ছবি। বাংলাদেশের ছেলে ফেরদৌস ছবিটির মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন, সঙ্গে ছিলেন প্রিয়াংকা ত্রিবেদি। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৮ সালে। সেই পত্রমিতালি যুগের ছবিটি এখনো বৃষ্টিভেজা প্রেমের ছবি হিসেবে সবার প্রিয়। ১৯৯৬ সালের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত তামিল ছবি ‘কাধাল কত্তাই’-এর বাংলা রিমেক ছিল ‘হঠাৎ বৃষ্টি’। একই গল্প নিয়ে বলিউডেও একটি হিন্দি ছবি হয় ১৯৯৯ সালে। সেই ছবিটির নাম ছিল ‘স্রেফ তুম’। ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছবিটিতে কলকাতার বৃষ্টিস্নাত দিন এসেছে রোমান্টিক আবহে। ছবির মুখ্য পাত্রপাত্রী একজন আরেকজনের সঙ্গে থেকেও নিজেদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। ছবির শেষ দৃশ্যে গিয়েই দুজন দেখা পান দুজনের। এ ছবির অসাধারণ সংগীতায়োজন করেছেন নচিকেতা।
৩. রেইনকোট
বাঙালি নির্মাতার হিন্দি ছবি। নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষ। ২০০৪ সালের এই ছবিতে ‘ঋতু স্পর্শ’ রয়েছে পুরোপুরিভাবে। ছবির মূল পাত্রপাত্রী অজয় দেবগন ও ঐশ্বরিয়া রাই। মার্কিন সাহিত্যিক ও হেনরির ছোটগল্প ‘দ্য গিফট অব ম্যাজাই’-এর অনুপ্রেরণায় তৈরি করা হয়েছে ছবিটি। সময়ের ব্যবধানে মানুষ দূরে চলে যায়, কিন্তু ভালোবাসা থেকে যায়। এই ছবিতে সেই সত্যটাই উঠে এসেছে অত্যন্ত নিপুণভাবে। বৃষ্টিভেজা একদিনের আখ্যান ‘রেইনকোট’। বৃষ্টির পরে যেমন রাস্তাঘাটে একটা প্রশান্তি ছড়িয়ে যায়, তেমনি এই ছবি দেখার পরও প্রশান্তি ছড়িয়ে যায় দর্শকের ভেতরে। সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে ছবিটি।
৪. সিঙ্গিং ইন দ্য রেইন
১৯৫২ সালের মার্কিন মিউজিক্যাল কমেডি ছবি ‘সিঙ্গিং ইন দ্য রেইন’। জেন কেলি ও স্ট্যানলি ডোনেন যৌথভাবে পরিচালনা করেন ছবিটি। এতে অভিনয় করেন কেলি, ডোনাল্ড ও’কনর এবং ডেব্বি রেনল্ডস। ১৯২০-এর দশকের হলিউডি ছবির ছোঁয়া রয়েছে এই ছবিতে। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন জেন হেগেন।