শিল্পকলায় ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী

Looks like you've blocked notifications!

বর্ণমালা যে চিত্রশিল্পে রূপায়িত হতে পারে, তার একটি অনন্য মাধ্যম ক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা। মূলত আরবি ভাষায় মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরআনের অনুলিপি তৈরি ও প্রচারের প্রয়োজনেই ইসলামী ক্যালিগ্রাফি বিকশিত হয়েছিল। মধ্যযুগের কয়েক শতাব্দী ধরে ক্যালিগ্রাফি পদ্ধতি মুসলিম শিল্পকলার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে গড়ে উঠলেও পরবর্তী সময়ে তা কেবল ধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকেনি, বিভিন্ন ভাষায় নানা মাধ্যমে তা বিস্তার লাভ করে। কখনো বইয়ের প্রচ্ছদে, স্থাপত্যশিল্প, বুননশিল্প, মৃৎশিল্পসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই শিল্প প্রসার লাভ করে।

বাংলাদেশ ক্যালিগ্রাফি আর্টিস্টস গিল্ড ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ৩৭ জন শিল্পীর পেনসিল, জলরং, তেলরং, রিলিফ পদ্ধতিসহ মিশ্র মাধ্যমে করা ১৪০টি চিত্রকর্ম নিয়ে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং প্রদর্শনী।

গত ৩ জুলাই বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম আর্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল শিল্পী সবিহ-উল-আলম।

শিল্পী সবিহ-উল-আলম বলেন, ক্যালিগ্রাফি শিল্প শিল্পকলার জগতে প্রাচীন ও আধুনিক শিল্পরীতি এবং অন্যান্য শিল্পের মতো ক্যালিগ্রাফিরও আন্তর্জাতিক শিল্পমান রয়েছে সমানভাবে। এ ধরনের প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য ‘বাংলাদেশ ক্যালিগ্রাফি আর্টিস্টস গিল্ড’কে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এ প্রদর্শনী শুধু রাজধানীতে সীমাবদ্ধ না রেখে জেলা পর্যায়ে বিস্তৃত করতে হবে।

বাংলাদেশ ক্যালিগ্রাফি আর্টিস্টস গিল্ডের চেয়ারম্যান মাহবুব মুর্শিদ বলেন, আগামীতে গিল্ডের পক্ষ থেকে নবীন শিল্পীদের পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে।

যাঁদের শিল্পকর্ম নিয়ে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, সেসব শিল্পী হলেন—শিল্পী সবিহ-উল-আলম, আরিফুর রহমান, মাহবুব মুর্শিদ, হামীম কেফায়েত, কানিজ ফাতেমা জয়তী, হোমায়রা লোপা, চন্দন কুমার সরকার, নাহিদা নিশা, অমিত নন্দী, ঈশা লাবণ্য, মাহফুজুর রহমান, লিজা ইরিন, শারমিন আক্তার, বেলাল হোসেন, নূরে আলম, শাবনূর জামান, শামীম আকন্দ, আসমা আক্তার, দীনা আকন্দ, নাজমুন নাহার, প্রদ্যুৎ কুমার, এস এম মিজানুর রহমান, কামাল আহমেদ, ওসমান হায়াত, তকি হাসান, মঞ্জুর হোসাইন, জোনায়েত, নাদিয়া বিনতে আমীন, শামসুল আরেফিন, বায়েজীদ, এনায়েত মোনেম, সুজন মাহবুব, তারিক তোরাগ, জাহাঙ্গীর আলম, সুমাইয়া সুলতানা সালওয়া ও ইনায়েতুল্লাহ।

প্রদর্শনীটি ৯ জুলাই পর্যন্ত খোলা থাকবে। এটি প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।