কুরোসাওয়া কথা

জনৈক কাপুরুষ ও জনৈক ভিতুর ডিম

Looks like you've blocked notifications!

ভূমিকা

 

জাপানি মাস্টার ফিল্মমেকার আকিরা কুরোসাওয়া (২৩ মার্চ ১৯১০-৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮)। বিশ্ব সিনেমার ইতিহাসের অন্যতম স্বতন্ত্র ও প্রভাববিস্তারী নির্মাতা। ৫৭ বছরের ক্যারিয়ারে নির্মাণ করেছেন ‘রশোমন’, ‘সেভেন সামুরাই’, ‘ড্রিমস’সহ ৩০টি মহাগুরুত্বপূর্ণ ফিল্ম। নিজ জীবনের একান্ত কথা তিনি জাপানি ভাষায় লিখে গেছেন যে গ্রন্থে, সেই আত্মজীবনীটির ইংরেজি অনুবাদ ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮০ দশকের শুরুতে। সেই গ্রন্থের পূর্ণাঙ্গ বাংলা অনুবাদ, ‘কুরোসাওয়া কথা’ শিরোনামে, ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হচ্ছে এখানে। অনুবাদ করেছেন রুদ্র আরিফ।

১৯২৮ সালে তোশিমা ওয়ার্ডের শিনা-চো অঞ্চলের প্রোলেটারিয়ান আর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয় আমার। তাদের এক্সিবিশনগুলোতে আমার পেইন্টিং ও পোস্টারগুলোর প্রদর্শনী হতো। কিন্তু প্রোলেটারিয়ান আর্টিস্টস’স লিগ, যেটিতে আমি ১৯২৯ সালে যোগ দিয়েছিলাম, সেটিতে রিয়েলিজমের এমন এক ব্র্যান্ড ছিল—যেটিকে আমি নিজে মনে করতাম, ন্যাচারালিজমের ঘনিষ্ঠ; এবং কুর্বের পেইন্টিংয়ে মধ্যে থাকা রিয়েলিজম প্রবণতার চেয়ে যথেষ্ট আলাদা। এ গ্রুপে বেশ কয়েকজন তুখোড় পেইন্টার ছিলেন ঠিকই, কিন্তু গড় হিসেবে, পেইন্টিংয়ের অনিবার্যতার গভীরে প্রোথিত কোনো শিল্প-আন্দোলনের বদলে এটি বরং হয়ে উঠেছিল ক্যানভাসে সেই অপরিতৃপ্ত রাজনৈতিক আদর্শগুলো সরাসরি সেঁটে দেওয়ার এক চর্চা—অর্থাৎ, একটি ‘বামপন্থী প্রবণতাসম্পন্ন’ আন্দোলন। এ নামে শুধু পেইন্টিংই নয়, বরং এ ধরনের ফিল্মগুলোকেও ডাকা যেতে পারে। এ আন্দোলনের প্রতি ধীরে ধীরে গভীর থেকে গভীরতর সন্দেহ জাগতে থাকল আমার; এবং শেষ পর্যন্ত পেইন্টিংয়ের প্রতি টানই হারিয়ে ফেললাম।

এ সময়ে এসে প্রোলেটারিয়ান আর্টিস্টস’ লিগের প্রতি আমার মোহমুক্তি ঘটে, আমি আরো বেশি সরাসরি ও নিষিদ্ধ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লাম। সর্বহারা সংবাদপত্রগুলো আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গিয়েছিল তখন। তাদের স্লোগান লেখা হতো পশ্চিমা বর্ণমালায়, আর লেখার প্যাটার্ন ও তা ঘিরে থাকা ডিজাইন এগুলোকে আরো বেশি প্রচ্ছন্ন করে তুলেছিল। এ ধরনের একটি সংগঠনের নিম্ন পদমর্যাদার একজন সদস্য হয়ে উঠলাম আমি। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়ানো মানে যেকোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা। প্রোলেটারিয়ান আর্টিস্টস’ লিগের সদস্য হিসেবে ‘পিগপেন’-এর [কারাগার] অভিজ্ঞতা ইতোমধ্যেই আমার হয়েছিল, কিন্তু সে সময় যদি ধরা পড়ে যেতাম, তাহলে আগেরবারগুলোতে যত সহজে বের হতে পেরেছিলাম, এ বেলা তা সম্ভব হতো না।

আমি গ্রেপ্তার হয়েছি— এ খবর যদি বাবা জানতে পারেন, তাঁর মুখটা কেমন হবে— তা ভেবে নিদারুণ এক যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যেতাম আমি। বাবা-মাকে বলেছিলাম, কিছুদিনের জন্য ভাইয়ার কাছে থাকতে যাচ্ছি; আর এ বলেই বাড়ি ছেড়েছিলাম। এক ভাড়া ঘর থেকে আরেক ভাড়া ঘর হয়ে, আর মাঝেমধ্যে কমিউনিস্ট সমর্থকদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে দিন কাটছিল আমার।

প্রথম দিকে আমার কাজ ছিল মূলত বাইরের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা। কিন্তু দমন-পীড়ন এতই তীব্র হয়ে উঠেছিল তখন, যে লোকটির সঙ্গে আমার দেখা করতে যাওয়ার কথা, তাকে নির্ধারিত জায়গায় গিয়ে পাওয়া যেত না প্রায়শই। হয়তো আসার পথে তিনি গ্রেপ্তার হয়ে গেছেন; তার খোঁজ আর পাওয়া যাবে না কখনোই।

তুষারাচ্ছন্ন একদিন, কোমাগোমে স্টেশনের কাছে এমনই এক অ্যাপয়েন্টমেন্টে যাচ্ছিলাম আমি। কফিশপের দরজা খুলেই আচমকা ঠায় দাঁড়িয়ে গেলাম। ভেতরে থাকা পাঁচ-ছয়টি লোক আমাকে দেখামাত্রই উঠে দাঁড়ালেন। এক পলকেই বুঝে গেলাম, তারা বিশেষ গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য; তাদের দেখতে লাগছিল একই রকমের আজব সরীসৃপের মতো। তারা পা সামনে বাড়ানোর আগেই, এক পলকে দৌড় দিলাম আমি। যখনই কোনো অ্যাপয়েনমেন্টে যেতাম, প্রয়োজনে পালানোর বিকল্প পথ ঠিক করে রাখার অভ্যাস ছিল আমার। এ বেলা সেটি কাজে লাগল। যদিও খুব জোরে দৌড়াইনি; কিন্তু বয়স যেহেতু আমার কম, আর যেহেতু বিকল্প রাস্তাটি মাথায় তৈরিই ছিল, ফলে তাদের হারিয়ে দিতে পারলাম পুরোপুরি।

কেমপেইতাই মিলিটারি পুলিশের কাছ থেকে পালানোর অভিজ্ঞতাও একবার হয়েছিল আমি। আমি ধরা পড়েছিলাম, কিন্তু মিলিটারি পুলিশটি ভালো আচরণ করছিলেন আমার সঙ্গে। তাঁকে বললাম, ওয়াশরুমে যেতে চাই। কোনোরকম তল্লাশি না করেই আমাকে ওয়াশরুম ব্যবহার করতে দিলেন তিনি। এমনকি আমি ঢোকার পর, দরজাটি বন্ধ করে দিলেন নিজেই। ভেতরে ঢুকে, দ্রুততার সঙ্গে, নিজের কাছে থাকা, ঊর্ধ্বতনদের দেওয়া মহাগুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রগুলো টয়লেটে ফেলে দিলাম আমি। এর পরপরই তল্লাশি করে কিছু না পেয়ে, ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল আমাকে।

এ ধরনের বিপজ্জনক জীবনযাপনের কথা ভেবে এখন আমি শিহরিত হয়ে উঠি। তবে সময়টি বেশ ভালোই কেটেছিল বলে মনে করি। নিজের অবয়বের নিরন্তর পরিবর্তন আমি সব সময়ই উপভোগ করেছি—চশমা পরে, নতুন নতুন ছদ্মবেশের কথা ভেবে। কিন্তু দিন দিন গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছিল, আর সর্বহারা সংবাদপত্রটি পরিণত হয়েছিল শর্ট-হ্যান্ডে। যদিও আমি ছিলাম নবাগত, তবু সহসাই পেয়েছিলাম এডিটোরিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের দায়িত্ব। যিনি মূল দায়িত্বে ছিলেন, তিনি বলেছিলেন, ‘তুমি তো কমিউনিস্ট নও, তাই না?’ তিনি ঠিক বলেছিলেন, আমি কমিউনিস্ট ছিলাম না।

ক্যাপিটাল ['দ্য ক্যাপিটাল'; কার্ল মার্কস] ও ডায়ালেকটিক ম্যাটেরিয়ালিজমের থিওরিগুলো পড়ার চেষ্টা আমি করেছি; কিন্তু সেসবের অনেক কিছুই বুঝতে পারিনি। ফলে আমার কাছে সেগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে জাপানি সমাজের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের চেষ্টা করা অসম্ভবই ঠেকেছে। জাপানি সমাজের অনুপ্রেরণা জোগানো বিষয়-আশয়ের প্রতি স্রেফ অস্পষ্ট অসন্তুষ্টি ও অপছন্দের অনুভূতি বোধ করেছিলাম আমি। এইসব অনুভূতির সঙ্গে বোঝাপড়া করতে, সামনে পাওয়া সবচেয়ে রেডিক্যাল আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম। সেটির দিকে এখন ফিরে তাকালে মনে হয়, আমার আচরণ ছিল ভয়াবহ রকমের নির্বোধ ও বেপরোয়া।

১৯৩২ সালের বসন্তকাল পর্যন্ত তবু আমি সর্বহারা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সেবারের শীতকালটি ছিল বিশেষ রকমের ঠান্ডা। আমার কাছে ক্ষণে ক্ষণে যে টাকা-পয়সা আসত আন্দোলনে অংশগ্রহণের উপার্জন হিসেবে, তা ছিল সামান্য এবং সব সময়ই আমাকে টাকা জোগাড়ের চিন্তায় ভুগতে হতো। বহুদিন আমি দিনে গেছে, একবেলা খেয়েছি। কোনো কোনোদিন তো না খেয়েই কাটাতে হয়েছে। যে রুমটিতে ভাড়া ছিলাম, সেটি নিঃসন্দেহে একদমই গরম ছিল না। ঘুমানোর আগে চলে যেতাম গরম হওয়ার একমাত্র জায়গা—পাবলিক বাথহাউসে।

শ্রমিক শ্রেণির ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা একজন সহকর্মী বার্তাবাহক আমার কাছে তাঁর আর্থিক অবস্থার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি যখন নিজের আন্দোলনের বেতন পেতেন, পরবর্তী বেতনের অপেক্ষায় তখন থেকেই দিন গোনা শুরু হয়ে যেত তাঁর। তারপর সব টাকা ভাগ করে, নিজের দৈনন্দিন খাদ্য খরচের বাজেট তৈরি করে নিতেন। তবে কখনোই এমনটা করতে পারিনি আমি। নিজের খালি পেট ভরার উদ্দেশ্যে, আমার ভাগের সব টাকা আমি ব্যয় করে ফেলতাম। যখন কোনো টাকা থাকত না হাতে, আর কোনো দায়িত্বও থাকত না পালন করার মতো, সারা দিন বিছানার চাদরের নিচে শুয়ে নিজের ক্ষুধা ও শীতের প্রকোপ ঢাকার করতাম চেষ্টা। পত্রিকাটি প্রকাশ করা কঠিন থেকে আরো কঠিনতর ওঠার দিনের সংখ্যা তখন বাড়তেই থাকল। পালানোর পথ একটাই খোলা ছিল আমার সামনে—ভাইয়ার কাছে গিয়ে সাহায্য চাওয়া। কিন্তু আমার অহংবোধ আমাকে তার কাছে গিয়ে হাত পাততে নিবৃত্ত করেছে।

সুইদোবাশি স্টেশনের কাছাকাছি, যে পুঁচকে একটি চার-বিছানার রুমে আমি থাকতাম, সেটিতে কোনোদিনই ঢোকেনি সূর্যের আলো; ওপর তলায় ছিল একটি মাহজং [এক ধরনের বুদ্ধির খেলা] পার্লার। একদিন হাড়-কাঁপানো শীত লাগল আমার। জ্বর এতই বেড়ে গিয়েছিল, আক্ষরিকঅর্থেই নড়তেও পারছিলাম না। মাথার নিচে বালিশ দিয়ে, মাহজং গুটিগুলোর খড়খড় শব্দ শুনতে পেলাম—নিচতলার সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করছে বিশ্রীভাবে, ক্ষণে ক্ষণে আরো কাছে আর উচ্চকিত হয়ে, আবার পরক্ষণেই মিহি ও দূরবর্তী হয়ে। এই শব্দের এ রকম আসা-যাওয়া শুনেই দুটি দিন কাটিয়ে দিলাম আমি। তারপর বাড়িঅলার মনে সন্দেহ জাগল। আমার খোঁজ নিতে ঘরে এলেন তিনি। রুমে ঘামের গন্ধ পেয়ে আর আমার তপ্ত চেহারার ওপর ফোঁটা ফোঁটা ঘাম দেখে আঁতকে উঠলেন। তক্ষুণি ডাক্তারকে ফোন করতে উদ্যত হলেন তিনি; কিন্তু নিজের সর্বশক্তি দিয়ে আটকালাম তাকে। জোর দিয়ে বললাম, ‘কিছুই হয়নি, সত্যি।’ আমার আসলে আদৌ কিছু হয়েছে কি না—তা নিজেই না জানলেও নিশ্চিতভাবে জানতাম, ডাক্তার এলে ঝামেলা হবে; কেননা, ডাক্তারকে দেওয়ার মতো কোনো টাকা নেই আমার। বাড়িঅলা আমার কথা শুনলেন। চলে গেলেন কথা না বাড়িয়ে।

খানিকক্ষণ বাদে বাড়িঅলার কন্যা এসে হাজির হলো, আমার জন্য একবোল ভাতের জাউ নিয়ে। আমি সুস্থ হয়ে ওঠার আগপর্যন্ত, প্রতিদিন তিনবার করে একেক বোল ভাতের জাউ নিয়ে আসত মেয়েটি। দেখতে সে কেমন ছিল, এখন আর মনে পড়ে না। তবে তার সেই উদারতার কথা কোনোদিনই ভুলব না আমি।

সর্বহারা পত্রিকাটির সদস্যদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক একেবারে ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল অসুখে ভোগার দিনগুলোতেই। জালবিস্তৃত স্টাইলের গ্রেপ্তার আতঙ্কে ভীষণ ভুগছিলাম আমরা। তাই কেউ কারো ঠিকানা জানব না—এ ব্যাপারটি আগেই নিয়েছিলাম নিশ্চিত করে। বাইরে যখন দেখা হতো আমাদের, আমরা তখনই ঠিক করে নিতাম—পরের বার দেখা কোথায়-কখন হবে। ফলে একটা মিটিং মিস করার পর, আমাকে খুঁজে পাওয়ার কোনো রাস্তা ছিল না তাদের কাছে।

আমি মনে করি, তাদের যদি আবারও খুঁজে বের করতে আমি সত্যিকার অর্থেই চাইতাম, তাহলে নিশ্চয়ই পেতাম। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তখনো আমি দুর্বল ও হতবিহ্বল; ফলে নিজের সেই মেজাজটি স্রেফ জড়ো করতে পারিনি। ব্যাপারটিকে আরো গভীরভাবে দেখলে, নিজেকে এই মর্মান্তিক নিষিদ্ধ রাজনৈতিক আন্দোলন থেকে মুক্ত করার একটি অজুহাত হিসেবেই আমি বস্তুতপক্ষে তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করিনি। বামপন্থি আন্দোলনের জ্বর সেরে যাওয়ার কোনো ঘটনা এটি নয়; বরং এ ছিল আমার নিজের বামপন্থি জ্বরগ্রস্ততার প্রতি নিজেরই আর খুব একটা সিরিয়াস না থাকা।

অসুখ থেকে উঠে, ঝরঝরে মন আর টলমলে পা নিয়ে, হেঁটে হেঁটে পাড়ি দিয়ে এলাম সুইদোবাশি থেকে ওচানোমিজুতে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন নিম্নবিত্ত ছাত্রের মতো যেন। ওচানোমিজু পার হয়ে, হিজিরিবাশি ব্রিজের দিকে এগিয়ে গেলাম আমি। হিজিরিবাশি পার হয়ে, বাঁপাশে পাহাড়ি রাস্তায় নেমে পড়লাম। সুদাচো অঞ্চলের দিকে কোনাকুনি হাঁটা দিয়ে, পৌঁছলাম ‘সিনেমা প্যালেস’ নামের সিনেমা-হলটির সামনে। সিনেমা প্যালেসের দেওয়া পত্রিকার বিজ্ঞাপনগুলোতে দেখেছিলাম ভাইয়ার নাম। পাহাড়ের যে পথ ধরে, ঝড়ো হাওয়ার ভেতর নেমে এসেছি, যদি সেখানে ফিরে যেতে পারতাম আবার, তাহলে পারতাম পৌঁছুতে নিজের বাড়ি।

এ কথাগুলো যখন লিখছি, আচমকাই কুসাদাতো নাকামুরার একটা কবিতা মনে পড়ে গেল :

‘ঝড়ো-হাওয়ার লেজ বেয়ে নেমে আসে,

ক্রন্দনরত বাছুরের বাসন্তী কণ্ঠস্বর।’

(চলবে)