মেলা থেকে

এটা বইয়ের বাজার নয়, বইয়ের মেলা : আল মনসুর

Looks like you've blocked notifications!

বিশিষ্ট নাট্যকার ও অভিনেতা আল মনসুর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণে স্টলে স্টলে বই খুঁজছেন। এমন সময় তাঁর সঙ্গে দেখা। এনটিভি অনলাইনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেলা নিয়ে বললেন নানা কথা।

মেলা কেমন দেখছেন—জানতে চাইলে আল মনসুর বলেন, ‘যখন চিত্তরঞ্জন সাহা একটা ছোট চাটাইয়ের মতোন বিছিয়ে তার ওপর বই নিয়ে বাংলা একাডেমিতে বই বিক্রি শুরু করলেন, আমরা দেখে একটু অবাক হয়েছিলাম। তখন থেকে আজ পর্যন্ত এটার যে ধীরে ধীরে উত্তরণ হয়েছে, এটা অত্যন্ত আনন্দের। মেলা আগের চেয়ে পরিচ্ছন্ন মনে হচ্ছে, খোলামেলা মনে হচ্ছে।’

তবে আল মনসুর মেলার স্টল বিন্যাস ও সজ্জাকরণ বিষয়ে একটি সর্বজনীন রূপ প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, ‘যতখানি মিলে মেলাটি বিস্তৃত, সেখানে একেকটি স্টল একেক রকম। তা না হয়ে যদি একটি সর্বজনীন রূপ দেওয়া যেত, তবে ভালো হতো। একটি গোলাপ ফুলের মধ্যে যদি পনেরোটা পাপড়ি থাকে, আর পনেরোটা পাপড়ি যদি পনেরো ঢঙের হয়, তাহলে আর সেটি গোলাপ ফুল থাকবে না। এতে হয়তো সুগন্ধ পাওয়া যাবে, নামেও ওগুলো ফুল থাকবে, কিন্তু গোলাপ ফুল আর থাকবে না। সমগ্র বইমেলাটিও একটি গোলাপ ফুলের মতো চিন্তা করতে হবে। প্রতিটি স্টল একেকটা ফুলের পাপড়ি। সব পাপড়ি মিলে যাতে সুন্দর একটি ফুলে পরিণত হয়, সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে।’

আল মনসুর আক্ষেপ করে বলেন, ‘বছরের পর বছর এ ব্যাপারে কাউকে কোনো চিন্তা করতে দেখিনি। সমগ্র মেলাটার একটা অভিন্ন রূপ না থাকলে তার সৌন্দর্য আর থাকে না।’

বইমেলা আর সব মেলা থেকে ভিন্ন বলে জানান তিনি। আল মনসুর বলেন, ‘এখানে নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র বিক্রি করা হয় না। প্রতিটি স্টলে এখানে শুধু বই বিক্রি করা হয়। এটা বইয়ের বাজার নয়, বইয়ের মেলা। আমাদের বাংলা ভাষাকে স্মরণে রেখে সেই ভাষার মাসে আয়োজিত বইয়ের মেলা।’

বইমেলার সময় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে আল মনসুর বলেন, ‘বইমেলার মতো মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা-১১টা পর্যন্ত চলতে পারে। কিন্তু আমরা যে চরম অনিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করছি, সে জন্যই তা হয়ে ওঠে না।’

বইমেলা দিন দিন আরো গোছানো হবে বলে প্রত্যাশা করেন আল মনসুর। দিন গেলে পাঠকের উপস্থিতিও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি, একই সঙ্গে মেলার সার্বিক সাফল্যও কামনা করেন।