মেলা কথা
ভিড় কম গবেষণাধর্মী বইয়ের স্টলে
চলছে অমর একুশে বইমেলা। প্রাণের এই মেলার টানে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের পাঠক ছুটে আসেন মেলা প্রাঙ্গণে। আসছে নতুন নতুন বইও। শত শত বইয়ের মাঝে পাঠক খুঁজে নিচ্ছেন নিজের প্রিয় লেখকের প্রিয় বইটি। প্রিয় বইয়ের তালিকায় উপন্যাস, প্রবন্ধ, কাব্যগ্রন্থের চাহিদা থাকলেও সেভাবে থাকছে না গবেষণা গ্রন্থগুলো। নিজে পড়তে বা প্রিয়জনকে উপহার দিতে পাঠক বেছে নেন উপন্যাস বা কাব্যগ্রন্থকে। গবেষণা গ্রন্থগুলো থাকছে পাঠকের প্রিয় তালিকার বাইরে। তাই বলে ছাপা বন্ধ নেই গবেষণামূলক গ্রন্থ।
সৃজনশীল প্রকাশনীর পাশাপাশি প্রতিবারই মেলায় সরকারি কিছু প্রকাশনী সংস্থা এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনী সংস্থাগুলো হাজির হয় তাদের গবেষণামূলক গ্রন্থ নিয়ে। এসব স্টলে উপচেপড়া ভিড় নেই। তবে আগ্রহী পাঠকরা ঠিকই টুকটাক করে কিনছেন প্রয়োজনীয় বই।
'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থা'র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, 'সাধারণ পাঠক বইতে আমোদ-প্রমোদ খোঁজে। আমাদের এ স্টলে সব শিক্ষণীয় বই, তাই এ বইয়ের চাহিদা কম। উচ্চশিক্ষায় বা রেফারেন্সের জন্য যাদের প্রয়োজন, শুধু তারাই এ বই কিনতে আসে। তা ছাড়া অন্যরা খুব একটা এসব বইয়ের মূল্য বোঝে না।'
'বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ'-এর স্টলের দায়িত্বে থাকা বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, 'যারা চলচ্চিত্রপ্রেমী বা চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করে, শুধু তারাই এসব বই কেনে। অন্য অন্য স্টলের তুলনায় আমাদের স্টল ভিন্ন। এখানে চলচ্চিত্র নিয়ে গবেষণাগ্রন্থ ও জার্নাল পাওয়া যায়। বিক্রয়ের কথা বলতে গেলে যতটুকু চেয়েছিলাম তা হচ্ছে না। তবে আশা রাখছি, বিক্রয়ের পরিমাণ বাড়বে।'
কথা হয় 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়' স্টলে গবেষণাগ্রন্থ ক্রয় করতে আসা মোহাম্মদ আরাফাত সানির সঙ্গে। আরাফাত এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বন্ধুদের সঙ্গে মেলায় ঘুরতে এসে একটি গবেষণাধর্মী বই ভালো লেগেছে, তাই এটি কিনলাম। এ ধরনের বই পড়তে সবার ভালো লাগে না, তবে আমার খুব ভালো লাগে। কার,ণ গবেষণা থেকে অনেক জ্ঞান লাভ করা যায়।’