মেলা কথা
বই বিক্রি বাড়ছে মেলায়
অমর একুশে গ্রন্থমেলার আর মাত্র পাঁচ দিন বাকি। বইমেলায় প্রথম দিকের তুলনায় বই বিক্রি বেড়েছে অনেক। পাঠক এখন নতুন ও পছন্দের বই সংগ্রহে ব্যস্ত। নিজেদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এই দিনগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছেন প্রকাশকরা।
বিগত বছরের থেকে এবার মেলার পরিধি বেড়েছে এবং মেলার পরিবেশও বেশ গোছানো। স্টলগুলো খোলামেলা এবং বড় হওয়ায় পাঠক একাধিক বই দেখেশুনে পছন্দের বইটি কিনতে পারছেন। বিক্রি বাড়ায় প্রকাশক ও বিক্রয় প্রতিনিধির মুখে হাসি ফুটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মেলার ২২তম দিনে বিভিন্ন স্টলে দেখা যায় দর্শনার্থীদের ভিড়। ছুটির দিন না হলেও মেলাজুড়েই ছিল পাঠক সমাগম। স্টলগুলো ছিল ক্রেতায় পরিপূর্ণ। কোনো কোনো স্টলে বিক্রেতারাও হাঁপিয়ে উঠেছেন ক্রেতার চাপে।
বিক্রি কেমন হচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে পাঠক সমাবেশ স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধি দেওয়ান অপু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রথম দিকের থেকে অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে। প্রথম দিকে শুধু ছুটির দিনগুলোতে ক্রেতার ভিড় থাকত। আর এখন প্রতিটি দিনই ক্রেতার উপচে পড়া ভিড়।’
সব দর্শনার্থী কি বই কিনছে—এমন প্রশ্নের জবাবে বাতিঘর স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সব দর্শনার্থী বই কিনছে না। তবে বেশির ভাগ পাঠকই এখন তার পছন্দের বই সংগ্রহ করছে। মেলার প্রথম দিকে নতুন বই সব পৌঁছায় না। তাই বেশির ভাগ পাঠক এসে ঘুরে যায় এবং বই পছন্দ করে যায়। মেলার শেষ সময়ে বই বিক্রির পরিমাণ বাড়ে। আমাদের স্টলে প্রথম থেকেই পাঠকের ভিড় ছিল, এখন তুলনামূলকভাবে বেশি।’
মেলায় এদিন কথা হয় লাকি মণ্ডল নামের একজন ক্রেতার সঙ্গে। তিনি এসেছেন স্বামী অনাদি মণ্ডলকে সঙ্গে মিরপুর থেকে। লাকি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এবারের মেলায় আজ আমার দ্বিতীয় দিন। প্রথম দিন আমার বোনের সঙ্গে এসেছিলাম। দুইটা বই কিনেছি এবং অনেকগুলো বই পছন্দ করে গেছি। তাই আজ ওকে (অনাদি) সঙ্গে নিয়ে এসেছি। আজ পছন্দের সব বইগুলো কিনে নিয়ে যাব।’
গাজীপুর থেকে বইমেলায় আসা রিপা রোজারিও এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অনেক দিন ধরে মেলায় আসব আসব করছিলাম; কিন্তু বাবা সময় পাচ্ছিল না। বাবার জন্যই মেলায় এবার দেরি করে আসা হলো। অনেকগুলো বই আমার পছন্দের আছে। ওইগুলো কিনব। নতুন বইগুলো দেখব, ভালো লাগলে নিয়ে নেব।’
বইমেলায় এসেছিলেন কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার ইমদাদুল হক মিলন। তিনি বলেন, ‘পাঠকের টানে সব ব্যস্ততা ফেলে আমি বইমেলায় আসি। অন্যান্য বছরের তুলনায় দর্শনার্থীর সংখ্যা এবারে বেশি। আশা করা যাচ্ছে, বিগত বছরের তুলেনায় এবারে বই বিক্রি বেশি হবে।’