বইমেলায় ই-বুক কেমন চলছে?

Looks like you've blocked notifications!
অমর একুশে গ্রন্থমেলা এখন শুধু ছাপা বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, অনেক স্টলে পাওয়া যাচ্ছে ই-বুক। ছবি : এনটিভি

অমর একুশে গ্রন্থমেলা এখন শুধু ছাপা বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অনেক স্টলে পাওয়া যাচ্ছে ই-বুক, অর্থাৎ ডিজিটাল বই। আর দিন দিন ই-বুকের চাহিদা যে বাড়ছে, তা বুঝা গেলা বই মেলার কয়েকটি ই-বুক স্টলের চিত্র দেখে।

মায়ের ভাষার প্রতি ভালোবাসা থেকে যে ইতিহাস, সেই অমর একুশে গ্রন্থমেলাই হলো বইয়ের প্রতি মমত্ববোধের একটি বাহ্যিক প্রকাশ। তাই তো মেলায় আসা মানেই ব্যাগ ভরে বই নিয়ে ঘরে ফেরা।

তবে বই এখন শুধু ব্যাগ, টেবিল কিংবা আলমারিতেই থাকছে না, প্রযুক্তির ছোঁয়ায় চলে এসেছে মোবাইল ফোন কিংবা ট্যাবেও। তাই তো তরুণদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশই এখন ই-বুকের পাঠক। অ্যাপস ডাউনলোড করে অনেক পাঠক বিনামূল্যে খুব সহজেই তাঁর মোবাইল ফোনে পেয়ে যাচ্ছেন প্রিয় লেখকের বই।

সাজেদুল হক নামে এক যুবক ই-বুকের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে এনটিভিকে বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার সময় জ্যামে পড়া বা অনেক সময় বই পড়তে ইচ্ছে করে। যে জায়গায় হয়তো আমি বই বহন করতে পারি না। একটা-দুটো হয়তো থাকে বাকিগুলো থাকে না। ই-বুকের সুবিধা হল, একট অ্যাপের মধ্যে আমি সুবিধামতো অনেক বই সংগ্রহ করতে পারছি। 

প্রখ্যাত অনেক লেখকের বই পাওয়া যাচ্ছে এসব ই-বুক স্টলে। মেলার শুরু থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে তিন হাজারের বেশি পাঠক ই-বুক সংগ্রহ করেছেন বলে জানান প্রকাশকরা।

বইঘরের কর্মকর্তা ইমানা আলম ইমু বলেন, এখান থেকে পাঠকরা খুবই স্বল্প মূল্যে বই কনিতে পারছে। তাদের বিকাশের মাধ্যমে টাকা দিতে হচ্ছে না। ফলে ক্র্যাচ কার্ড বা ক্রেডিট কার্ডের ঝামেলাও যেতে হচ্ছে না। তাদের ফোন ব্যালেন্স দিয়েই বইগুলো কিনতে পারছে।

সেই বই নামক একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জাকির হাসান বলেন, আড়া্ হাজারের মতো আমাদের ই-বুক আছে। এর মধ্যে পাঁচশ বই বিনামূল্যে আর বাকিগুলো টাকা দিয়ে কিনতে হয়। এর মধ্যে কোনোটির দাম ১০ টাকা, কোনোটির দাম পাঁচ টাকা, ৫০ টাকা উর্ধ্বে আমাদের এখানে ই-বুক নেই।

ডিজিটাল বইয়ের চাহিদা বাড়ার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও ছাপা বইয়ের জনপ্রিয়তা কখনো কমবে না বলে মনে করেন সৃজনশীল পাঠকরা।

মেলায় আসা একজন যুবক (৩৫) বলছিলেন, ‘ছাপা বইয়ের যে আবেগ, নতুন বইয়ের মাতাল করা যে ঘ্রাণ, এটা তো আমরা ই-বুকে পাব না। আমার কাছে মনে হয়, ছাপা বইয়ের আবেদন চিরায়ত, এটা থাকবেই।’

বইয়ের আরেকজন পাঠক (৪০) বলেন, ছাপা যে বইগুলো এগুলো মানুষ সংগ্রহ করবে বা পড়বে। আমি আশা করি, দুটো সমান্তরালভাবে চলবে।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা শেষ হতে বাকি আর মাত্র চার দিন। তাই মেলার শেষ সপ্তাহে এসে শনিবার ছুটির দিনে পাঠকদের উপস্থিত ছিলো উল্লেখযোগ্য। আর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ছিল শিশু প্রহর।