চলচ্চিত্র
এমিল, সীমানা অতিক্রম করা এক চরিত্র
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/27/photo-1445929439.jpg)
এরিখ কাস্টনার জার্মানের লেখক। তাঁর কোনো লেখাই পছন্দ না হিটলার নিয়ন্ত্রিত নাজি সরকারের। বিশেষ করে তাঁর স্যাটায়ারধর্মী লেখা নিয়ে খুব বিরক্ত নাজি সদস্যরা। এমনকি কাস্টনারকে জার্মানের জাতীয়তাবোধ বিরোধী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে নাজি সরকার। তবু এই ভদ্রলোক চুপ থাকতে পারছেন না। বলেই যাচ্ছেন, নিষেধাজ্ঞা পাচ্ছেন। এভাবেই চলছে। হুট করেই এরিখ কাস্টনারের মাথায় এলো জার্মানকে ঐক্যবদ্ধ করতে হলে প্রয়োজন শিশুদের মনে প্রভাব ফেলতে হবে। তাদের হৃদয়ের বিস্তারই পারে স্বৈরাচার নাজি সরকারকে রুখে দিতে।
কাস্টনার সেই কাজটি করে বসলেন। এই প্রথম তাঁর একটি উপন্যাস নাজি সরকারের কঠোর সেন্সরশিপকে পরাজিত করে প্রকাশিত হয়ে গেল। ১৯২৯ সালে প্রকাশিত ওই উপন্যাস ছড়িয়ে গেল বিশ্বব্যাপী। প্রায় ৫৯টি ভাষায় প্রকাশিত হলো ‘এমিল অ্যান্ড দ্য ডিটেকটিভস’। শুধু তো উপন্যাস নয়, কয়েক বছর পর দেখা গেল কাস্টনারের এই উপন্যাস নিয়ে তৈরি হচ্ছে নাটক, সিনেমা। শিশুদের মনোজগৎ নিয়ে এক অসাধারণ গোয়েন্দা কাহিনীতে এরিখ কাস্টনার শিশুদের দায়িত্ববোধ, ফ্যান্টাসি, শৈশব জগৎকে তুলে ধরেছেন। আর তাই তো এমিল এবং তাঁর গোয়েন্দারা তখন দখল করে নিলেন শিশুদের মন।
এমিলের এই গোয়েন্দা কাহিনী নিয়ে এখন পর্যন্ত ছয়টি চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। প্রথমত ১৯৩১ সালে জার্মান ভাষায় এই চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় ছিল পরিচালক এমিরিখ প্রেসবার্গার মূল রচনাকারীর নাম উল্লেখ করেনি। তবে এই ছবিটি তৎকালে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। যার ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাজ্য ১৯৩৫ সালে জার্মান ভাষায় নির্মিত ছবিটি পুনর্নির্মাণ করে। পরে আবার জার্মানিতেই, ১৯৫৪ সালে ছবিটি পুনরায় নির্মাণ করা হয়। তবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয় ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত ‘এমিলি অ্যান্ড দ্য ডিটেকটিভস’ চলচ্চিত্রটি। তাঁর নির্মাণ এবং কারিগরি শৈলীর কারণে ছবিটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল্ট ডিজনি প্রডাকশন এই ছবিটি নির্মাণ করে। যদিও ২০০১ সালে জার্মানিতে আবারও ‘এমিলি অ্যান্ড দ্য ডিটেকটিভস’ নির্মিত হয়েছে। কিন্তু এই এমিলের গোয়েন্দা কাহিনী চলচ্চিত্র ইতিহাসে যেমন জায়গা করে নিয়েছে, ঠিক তেমনি জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশেও। ১৯৮০ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা বাদল রহমান নির্মাণ করেন ‘এমিলের গোয়েন্দা কাহিনী’।
অর্থাৎ বিশ্বকে জয় করা এমিল বাংলাদেশের বাস্তবতার মধ্যেও ঘুরে গেছে। বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র হলো ‘এমিলের গোয়েন্দা কাহিনী’। যদিও এর আগে ডুমুরের ফুল (১৯৭৮) নির্মাণ করেছেন সুভাষ দত্ত। এটিরও প্রধান চরিত্র ছিল শিশু। কিন্তু ওই চলচ্চিত্রে পরিচালকের বাণিজ্যিক বুদ্ধি অনেকাংশেই ক্রিয়াশীল ছিল, আর তাই সেখানে প্রচলিত ধারার চলচ্চিত্রের মতো স্টার প্রথার অনুগামী থেকে পরিচালক নায়ক ও নায়িকা নির্বাচন করেছিলেন যথাক্রমে ইলিয়াস কাঞ্চন ও ববিতাকে (ইসলাম, ২০১১)। অর্থাৎ এরিখ কাস্টনারের এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী হলো স্বাধীন বাংলাদেশের শিশুদের প্রথম ছবি। আর তাই এমিল অ্যান্ড দ্য ডিটেকটিভস বাংলাদেশের ইতিহাসেরই অংশ হয়ে আছে।
এমিল অ্যান্ড দ্য ডিটেকটিভস (১৯৬৪)
ছবিটি তিন চোরকে নিয়ে। শুরুতেই কথক পরিচয় করিয়ে দেন এমিল এবং এক চোরের সঙ্গে। যে চোর দেখতে পায়, এমিলের মা তার পকেটে একটি খামে কিছু টাকা ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ছবির শুরু সেখান থেকেই। এমিল বাসে চড়ে তার দাদির সঙ্গে দেখা করতে যাবে। তার পাশের সিটেই বসে পড়ে ওই চোর। বাসে ঘুমিয়ে যায় এমিল। ঘুম থেকে উঠে দেখে তার পাশের সিটের লোকটি নেই, এবং তার পকেটের খামটিও নেই। ছুটে যায় এমিল। ওই লোকটির পেছন পেছনে সে যায় তাকে ধরতে। ওই মুহূর্তেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় গুস্তভের সঙ্গে।
গুস্তভ তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে। পরে সে তার বন্ধুদেরও খবর দেয়। যারা নিজেদের প্রাইভেট ডিটেকটিভ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর সবাই মিলেই ওই চোরকে অনুসরণ করতে গিয়ে আবিষ্কার করে- ওই চোর আরো দুজনের সঙ্গে দেখা করে। তাদের ধরার জন্যই এবার সবার নানা কাণ্ডকীর্তি।
এমিলের টাকা চুরি করেছে যে চোর সে মাটি কেটে টানেল তৈরিতে ওস্তাদ। গুস্তভ ও তার দল চোরদের আস্তানা ঘিরে রাখে। খুঁজতে থাকে তাদের অবস্থান। কোনোভাবেই তাদের হদিস পায় না। কিন্তু এমিল পেয়ে যায় খোঁজ। একটু ভুলের জন্য ধরা পড়ে যায় তাদের হাতে। এমিল তখন বুঝতে পারে এরা ব্যাংক ডাকাত। এমিল দেখতে পায় তারা একটা টানেল তৈরি করছে। কিন্তু তার ছিদ্র অনেক ছোট। সেখানে কীভাবে যাবে দেহে হাট্টাগাট্টা এই চোররা? তারা তখন এমিলকে ভয় দেখিয়ে ঢুকিয়ে দেয় টানেলের মধ্যে। এমিল তাদের টাকা এনে দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায় ওই চোর এবং এমিলকে টানেলে আটকে রেখে চলে যায় বাকি দুই ডাকাত। তারা আস্তানা থেকে বের হলেই গুস্তভ যায় এমিলের খোঁজে।
বাকিরা পুলিশকে নিয়ে হাজির হয়। এবং বাকি শিশুদের নিয়ে ধরে ফেলে দুই ডাকাতকে। সারা শহরে তখন তোলপাড় শুরু হয় এই শিশুদের সাহসিকতা নিয়ে।
১৯৬৪ সালে ডিজনি ক্রিসমাস উপলক্ষে মুক্তি দিয়েছিল ছবিটি। চলচ্চিত্র পাড়ায় অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা করে এই ছবি। শুধু তাই নয়, পিটার টুইকবারির পরিচালনার দক্ষতাও ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। সঙ্গে ছবির অভিনয়শিল্পীরাও বাদ যাবে কেন? এমিল চরিত্রে অভিনয় করা ব্রায়ান রাসেল তো রীতিমতো সেলিব্রিটি। তবে সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হয়েছিল গুস্তভ চরিত্রে অভিনয় করা রজার মোবলে। তাঁর অভিনয়ের পারদর্শিতা এবং চরিত্রের ভারিক্কিভাব ছবিটিতে অন্যরকম মাত্রা যোগ করেছিল। তাকে যেন দায়িত্ববোধ সম্পন্ন একজন শিশু হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল।
ডিজনির এই ছবিটির গতি খুব ভালো ছিল। কোনো মেদ ছিল না। একটানে ছবি এগিয়ে গেছে। কোনো বাড়তি সাব-প্লট তৈরি করে ছবিকে ভিন্নমাত্রা তৈরির করার অযথা চেষ্টা করা হয়নি। এ জন্য ছবিটি ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। এমনকি তৎকালীন সময়ের বাঘা বাঘা চলচ্চিত্র সমালোচকরা এই ছবির ভুল ধরায় ব্যস্ত না থেকে সবাইকে এমিল অ্যান্ড দ্য ডিটেকটিভস দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী (১৯৮০)
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’। তবে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো এই ছবির নির্মাতা বাদল রহমান ভারতের পুনে থেকে চলচ্চিত্রে পড়াশোনা শেষ করে এই ছবিটি নির্মাণ করেন। বলা হয়, চলচ্চিত্রে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনো নির্মাতার এটাই ছিল তখন প্রথম বাংলাদেশি ছবি। তাই ব্যাপকভাবে আলোচনারও জন্ম দিয়েছিল।
ছবির কাহিনী এরিখ কাস্টনারের হলেও এর চিত্রনাট্য রচনা করেছেন বাদল রহমান নিজে। যার কারণে বিদেশি গল্প হলেও নিজ দেশের সমাজ-বাস্তবতাকে অসাধারণভাবে যুক্ত করেছেন বাদল রহমান। ছবির কাহিনীতেও এনেছেন ব্যাপক পরিবর্তন।
এমিলের গোয়েন্দা বাহিনীর শুরু হয় অসাধারণ দার্শনিক বক্তব্য দিয়ে। দেখা যায়, এক পাখি বিক্রেতা এমিলের ঘরের সামনে আসে। এমিল খাঁচা বন্দি পাখিগুলোকে দেখে চলে যায় এক কল্পনার জগতে, যেখানে সে দেখে ওই পাখিগুলোকে সে মুক্ত করে দিচ্ছে। এ এক অন্যরকম বার্তা পৌঁছাতে চেয়েছেন পরিচালক। শুধু তাই নয়, এক পুলিশ যখন এমিলকে জিজ্ঞেস করে তোমার বাবা কী করে? এমিলের উত্তর ছিল, ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে রাজাকাররা বাবাকে মেরে ফেলেছে।
যে সময় রাজাকার শব্দ উচ্চারণই করা প্রায় নিষিদ্ধ, সেই সময় রাজাকার শব্দ উচ্চারণ করিয়েছেন বাদল রহমান। শুধু তাই নয়, এমিলের মায়ের অফিসে এক ফিতা কাটা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী হিসেবে আসেন এক রাজাকার। ব্যাকগ্রাউন্ডে যুদ্ধের আওয়াজ যেন সুচতুরভাবে সেই সময়ের বাস্তবতাকে তুলে ধরেছিলেন পরিচালক। তাঁর এই সাহসের গল্প যুগ যুগ ধরে ইতিহাসে হওয়া উচিত।
ডিজনি নির্মিত ছবির সঙ্গে খুব মিল রয়েছে আমাদের দেশের এমিলের তা নয়। অনেক ভিন্নতা রয়েছে আবার কিছু মিলও রয়েছে।
আমাদের এমিল ট্রেনে চড়ে ঢাকায় রওনা দেয়। কারণ সে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ হয়েছে। তার পকেটে মা ৫০০ টাকা দেয় খালাকে দেওয়ার জন্য এবং ঘুম থেকে উঠে দেখে পকেটে টাকা নেই।
এমিল তার পিছু নেয়। ওই চোর ঢুকে পড়ে ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে। এমিল সেখানেই চোরের অপেক্ষা করতে থাকে। ঠিক তখনই এমিলের সঙ্গে পরিচয় ঘটে তৃপ্তির। তার সঙ্গে সব কিছু খুলে বলে এমিল। ডিজনি নির্মিত ছবিতে আমরা দেখতে পাই এমিলের সঙ্গে পরিচয় হয় গুস্তভের যার ছিল একটি প্রাইভেট ডিটেকটিভ দল। কিন্তু এখানে বিষয়টি একদমই ছিল না। তৃপ্তিকে এমিলই বলে তার বন্ধুদের নিয়ে আসতে। কারণ বড় চোরকে ধরতে প্রয়োজন শক্তির। এ সময় তৃপ্তি তার বন্ধুদের নিয়ে আসে। চলে আসে শিপলু, মনির, ইমরান, নিশু, সুমন, শৈবাল, অরূপ, সুমিত। তাদের নিয়েই গঠন হয় গোয়েন্দা দল। তারাই রহস্য উন্মোচনের জন্য নানা রকম বুদ্ধিমত্তার প্রদর্শন শুরু করে। এ সময় বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুর সম্পর্কের অনেক ছোটখাটো বিষয়ও উঠে আসে। যেমন, এমিলের হাতের ব্যাগ এবং পানির ফ্লাক্স সবাই মিলে নিয়ে নেয়। কারণ এমিলের কষ্ট হচ্ছে।
যাইহোক, এত সব কিছুর মধ্যে গল্পে হাজির হয় মামা চরিত্র। এই মামা গোয়েন্দা কাহিনী পড়তে পড়তে নিজেকে গোয়েন্দা মনে করে। তার সহযোগিতায় ঠিকই পৌঁছে যায় ওই চোরের কাছে। ধরেও ফেলে হাতেনাতে। পরে দেখা যায় ওই চোর কোনো ছোটখাটো চোর নয়। সে বড়-সড় ডাকাত। ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। পরদিন পত্রিকায় বড় বড় করে এই সাহসী শিশুদের গল্প ছাপা হয়।
এই ছবির কাহিনী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যেতে পারে, যা প্রশংসনীয়। কিন্তু অনেক সমালোচনারও দিক রয়েছে। যেমন, এমিল ও শিপলু ছাড়া বাকি সব শিশুর অভিনয়ে তেমন পারদর্শিতা লক্ষ করা যায়নি। বুঝে নেওয়া যায়, বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্রে শিশুদের প্রশিক্ষণের বিষয়টা খুব একটা ছিল না। তবে একটা গান নিয়ে যথেষ্ট আপত্তি তৈরি হতে পারে। যেমন একটি গান আছে-চোর চোর চোর/ ধরবো আমরা মিলে সবাই/ করবো এখন গরু জবাই/বুঝবে ব্যাটা ন্যাটার ভাই/ খুঁড়বো যখন তার কবর।
এই গানের লাইনে শিশুমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার যথেষ্ট সুযোগ তৈরি হয়। প্রথমত- ‘জবাই’, দ্বিতীয়ত- ‘কবর খোঁড়া’। এ ধরনের শব্দ শিশুতোষ যে কোনো শিল্পে ব্যবহার করা আদৌ যায় কি না এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতে পারে। শুধু তাই নয়, ছবির এক জায়গায় আমরা দেখি চোরের পিছু নেয় মামা। সে তখন অন্য আরেক হোটেলে বৈঠকে বসে। সেখানে সিগারেট আর মদ খাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়। বিতর্ক করা যেতে পারে- এ ধরনের দৃশ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্রে জুড়ে দেওয়া যায় কি না!
এ ছাড়া শিশু মনোজগতের বিস্তার ঘটাতে এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী এক অসাধারণ চলচ্চিত্র। বাংলাদেশে শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় না বললেই চলে। সেখানে এই ছবি ১৯৮০ সালে সূত্রপাত করেছিল বিপুল সম্ভাবনার। যা পরে আর তেমন এগিয়ে যায়নি। শিশুদের রঙের দুনিয়াকে রাঙিয়ে দিতে চলচ্চিত্র নির্মাণ যেন থমকে রয়েছে।
অথচ এই বিভাগে কাজ করার এক বিশাল দুয়ার তৈরি হয়ে বসে আছে। শিশুতোষ চলচ্চিত্র কখনো ব্যবসায়িকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। যদি নির্মাণ ভালো হয়। সেটা তো এমিলই প্রমাণ করে গেছে। ১৯২৯ সালে জীবন পাওয়া ‘এমিল’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এখনো বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।