বিজ্ঞানী হতে চাই : মীম নোশিন নাওয়াল খান

Looks like you've blocked notifications!
লেখক মোহাম্মদ জাফর ইকবালের সঙ্গে মীম। ছবি : সংগৃহীত

মীম নোশিন নাওয়াল খান। লেখক। নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে মীম। ইউনিসেফ প্রদত্ত ‘মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড,’ অনূর্ধ্ব ১৮ ক্যাটাগরিতে তিনবার বিজয়ী হয়েছে সে। এই তিনবারের মধ্যে দুইবারই অধিকার করেছে প্রথম স্থান। এ পযর্ন্ত মীমের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১০টি।

এবারের একুশে বইমেলায় মীমের দুটি বই ‘কলাপাতার বাঁশি’, ‘আয়লিন ও স্বর্ণরহস্য’ প্রকাশিত হয়েছে। বই দুটি এবং ব্যক্তিগত অনেক বিষয় নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছে মীম। 

প্রশ্ন : তুমি সাধারণত কখন লিখ?

উত্তর : আমার যখন ইচ্ছা হয় তখনই লিখতে বসে যাই। আমার মনে আছে ক্লাস ফাইভে থাকতে সমাপনী পরীক্ষার সময় পরীক্ষার হলে বসেই একটা ছড়া লিখেছিলাম।

প্রশ্ন : ‘কলাপাতার বাঁশি’ আর ‘আয়লিন ও স্বর্ণরহস্য’ বই দুইটি কি নিয়ে লেখা?

‘কলাপাতার বাঁশি’ গ্রামীণ পটভূমিতে লেখা একটি কিশোর উপন্যাস।‘আয়লিন ও স্বর্ণরহস্য’ বইটির মধ্যে থ্রিলার ভাব রয়েছে।

প্রশ্ন : শহরে বড় হয়ে গ্রামীণ পটভূমিতে উপন্যাস কীভাবে লিখলে?

উত্তর : আমি স্কুলের ছুটি পেলেই ফরিদপুরে আমার দাদু ও নানু বাড়িতে বেড়াতে চলে যেতাম। এমনকি এখনো যাই। গ্রামে যাওয়ার অভিজ্ঞতাগুলোই আমাকে উপন্যাস লিখতে সহযোগিতা করেছে। 

প্রশ্ন : তোমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

উত্তর : কলেজ শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি, হাভার্র্ড অথবা ক্যালটেক থেকে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার ইচ্ছা আছে। লেখালেখিটা শখের বশেই করব। আমি মূলত বিজ্ঞানী হতে চাই। বিজ্ঞানপ্রযুক্তি নিয়ে আমার চিন্তা সুদূরপ্রসারী। 

প্রশ্ন : বিজ্ঞানী কেন হতে চাও?

উত্তর : বিজ্ঞানকে আরো উন্নত করতে পারলে পৃথিবীকে আরো উন্নত করা সম্ভব। আমাদের জীবনযাত্রা আরো সহজ করা সম্ভব। তাই বিজ্ঞানী হতে চাই।

প্রশ্ন : ‘মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার জিতে সেই টাকা দিয়ে কী করেছিলে?

উত্তর : মীনা অ্যাওর্য়াড থেকে পাওয়া টাকা দিয়েই আমি ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনেছিলাম। সেই ক্যামেরা দিয়েই শখের বশে আমি ছবি তুলি। বলতে পারেন আমি সৌখিন ফটোগ্রাফার। 

প্রশ্ন : তোমার সাফল্যে কার অবদান সব থেকে বেশি?

উত্তর : আমার সাফল্যে পরিবারের অবদান অনেক বেশি। তারা সবসময় আমাকে সমর্থন করে। তারা আমার কাজে কোনো বাধা দেয়নি। অবদান রয়েছে শুভাকাঙ্ক্ষীদেরও, যারা সবসময় উৎসাহ ও প্রেরণা জুগিয়েছে, পাশে থেকেছে। আর যার অবদানের কথা না বললইে নয় সে হলো প্রকৃতি। প্রকৃতি দেখেই আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি।