জাতীয় জাদুঘরে প্রাচ্যচিত্র প্রদর্শনী

Looks like you've blocked notifications!

বাংলাদেশে সমকালীন প্রাচ্যশিল্পের ধারা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বসু ও আব্দুর রহমান চুঘতাইয়ের আদর্শের সংমিশ্রণ। তবে কোনো শিল্পীবিশেষের অনুকরণ নয়, কারণ অনেকেই প্রাচ্যধারার অনুসারী হলেও নিজস্ব ধারা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যকলা বিভাগের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে প্রাচ্যশিল্পের বিস্তার’ শিরোনামে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে শুরু হয়েছে প্রাচ্যকলা প্রদর্শনীর।  

বাংলাদেশে প্রাচ্যধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত শিল্পী শফিকুল আমিন, শিল্পী রশিদ চৌধুরী, শিল্পী আমিনুল ইসলাম, শিল্পী অধ্যাপক মু. আবুল হাশেম খান, শিল্পী তাজুল ইসলাম, শিল্পী অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সাত্তার, শিল্পী নাসরীন বেগমসহ ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নবীন ও প্রবীণ ১২২ জন শিল্পীর প্রায় দুই শতাধিক শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে।

প্রাচ্যধারাকে দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিত এবং প্রসারের লক্ষ্যে ২০০০ সালে গঠিত হয় “বাংলাদেশ সোসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট”। তৎকালীন ঢাকা চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রাচ্যকলা বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকদের উদ্যোগ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগের প্রাচ্যকলা গ্রুপের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এর গোড়াপত্তন হয়। যার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ওয়ার্কসপ, আর্ট ক্যাম্প, প্রদর্শনী এবং নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এর ব্যাপ্তি ঘটানো। যেহেতু এখন ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া দেশের অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাচ্যকলা বিভাগ নেই, তাই এই দুই প্রতিষ্ঠান এবং সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত শিল্পীরা বর্তমানে সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। দেশ-বিদেশে এই ধারার যথেষ্ট চাহিদা আছে। প্রাচ্যধারার চাহিদা, মূল্যায়ন ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে সত্যিকার প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজে প্রাচ্যধারার শিল্পচর্চার দ্বার উন্মোচন করায় প্রচেষ্টায় রয়েছে সংগঠনটির। কেননা এই ধারা হচ্ছে আমাদের একান্তই নিজস্ব।

গত ২৩ নভেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক-বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাসেম খান, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং  শিল্প সমালোচক ও স্থপতি রবিউল হুসাইন।

প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। শনিবার থেকে বুধবার সকাল ৯টা ৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং শুক্রবার বিকেল ২টা ৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৩০টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনীটি।