পাঠশালায় ‘দাগী’ শিল্পীদের প্রদর্শনী

Looks like you've blocked notifications!

‘অস্ত্রকে সব সময় ধ্বংস বা গণহত্যার সরঞ্জাম হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু আমরা এর পেছনে যে অদৃশ্য আত্মনিষ্ঠা কাজ করে, সেটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সরল ভাষায় বলতে গেলে অস্ত্র অহিংস বা নিরপেক্ষ হয়। কিন্তু যখন এই অস্ত্র কারো দ্বারা পরিচালিত হয়, তখন এর ব্যবহার অন্যকে বধ করতে পারে। তাই আমরা এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে অস্ত্রের রূপক বা প্রতিনিধিত্বমূলক অস্তিত্ব দেখানোর চেষ্টা করেছি। এ অনুভূতি থেকে আমরা এটিকে ব্যবহার করেছি এবং চাক্ষুস ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে, এটি আমাদের অনুশীলন সংস্কৃতির উপাদান। যেখানে বস্তু সদ্য সঙ্গে বা তাদের উপযোগ বা প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য বিকৃতি আবেদন ছাড়া রূপান্তরিত হয়।’ নিজেদের প্রদর্শনী নিয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ‘দাগী আর্ট গ্যারেজ’-এর সদস্য ধীমান সরকার।

পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটে ‘উইপন ক্যান্ট কিল’ (WEAPON CAN’T KILL) শিরোনামে শুরু হয়েছে ‘দাগী আর্ট গ্যারেজ’-এর সাতজন শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনী।

সাতজন শিল্পীর প্রত্যেকে এসেছেন শিল্পমাধ্যমের বিভিন্ন পটভূমি থেকে। তাই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে পেইন্টিং, স্কাল্পচার, পারফরম্যান্স অব আর্ট, আলোকচিত্রসহ বিভিন্ন মাধ্যমের শিল্পকর্ম।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টায় প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন ‘পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট’-এর ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর তানজিম ওয়াহাব।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তানজিম ওয়াহাব বলেন, ‘অনবদ্য স্পন্দনশীল এই প্রদর্শনী নির্মাণ ও সৃজনশীল মিডিয়া আর্টওয়ার্ক-এর জন্য।’ এই সাত তরুণ শিল্পীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘তাঁদের এই প্রদর্শনী শিল্প ও যোগাযোগের একটি অনন্য সংমিশ্রণ এবং এই মিডিয়াকে সম্পূর্ণ নতুনরূপে উপস্থাপন, যেটি সত্যিই প্রশংসনীয়।’

প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন—সানাদ কুমার বিশ্বাস, ধীমান সরকার, সৈয়দ তারেক রাহমান, এমরান সোহেল, সানজিদ মাহমুদ, রুপম রে ও রাসেল চৌধুরী।

প্রদর্শনীটি আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।