নতুন বই
আল মাহমুদের প্রথম রূপকথা ‘ছায়ায় ঢাকা মায়ার পাহাড়’
আল মাহমুদ মূলত কবি। তিনি আপাদমস্তক সমর্পিত হয়ে আছেন কবিতাতেই। তবে গল্প, প্রবন্ধও রচনা করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি শিশুসাহিত্যের অঙ্গনেও তাঁর তুলনা তিনিই। শিশু-কিশোরদের জন্য অনেক সাহিত্য রচনা করলেও কখনো তিনি রূপকথার গল্প লেখেননি।
এবারই প্রথম আল মাহমুদ লিখেছেন রূপকথার গল্প, নাম ‘ছায়ায় ঢাকা মায়ার পাহাড়’। বইটির প্রকাশক গিয়াসউদ্দিন খসরু, বইয়ের সম্পাদনা ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন নাইস নূর। মেলায় বইটি ‘ঝিঙেফুল’ (স্টল নং ৬৩৪-৬৩৫ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) প্রকাশনার স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ১০০ টাকা। বইটিতে গল্পের সঙ্গে মিল রেখে রয়েছে বেশ কিছু সুন্দর ছবি। সবগুলো ছবি এঁকেছেন চিত্রশিল্পী কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়। বইটির প্রচ্ছদও করেছেন তিনি।
কবি আল মাহমুদ মনে করেন, ‘রূপকথা মানে ছোট ছোট তরঙ্গময় সুন্দর কাহিনী কাব্যের মতো গদ্যের বই।’ রূপকথা লেখার প্রধান কারণ আনন্দ বিতরণ বলেই জানান এই কবি। তবে রূপকথা কীভাবে হয়? সেটা ঠিকমতো আন্দাজ করতে পারেননি বলেই এতদিন রূপকথার গল্প লেখেননি বলে জানান এই কবি। বইটির ভূমিকায় এই কথাগুলো জানিয়েছেন কবি নিজেই।
এদিকে ‘ছায়ায় ঢাকা মায়ার পাহাড়’ রূপকথার এই গল্পে পাঠক খুঁজে পাবেন এক মুনিকে। মুনির একমাত্র মেয়ে বনানী গল্পের মূল নায়িকা। যে কি না বনের পশুপাখির ভাষা বুঝতে চাইত। বহু চেষ্টায় সে সত্যি একদিন অরণ্যের ভাষা আয়ত্ত করতে পেরেছিল। সে ডাক দিলেই অরণ্যের সব পাখি, এমনকি গুহায় লুকিয়ে থাকা সিংহরা গর্জন করে বেরিয়ে আসত। আর সিংহ বেরিয়ে এলে বনানী সিংহকে বলত-‘সিংহ মশাই, সিংহ মশাই, মাংস খাবার যম, ইংরেজিতে দখল ভারি, বাংলা জানেন কম’। বুঝতেই পারছেন, বইটিতে মজাদার ছড়াও রয়েছে অনেক, যা শিশু-কিশোরদের বাড়তি আনন্দ দেবে। আর বইটি পড়ে আনন্দের পাশাপাশি তারা শিখতে পারবে অনেক কিছুই।