আসছে ‘শাহবাগের জনতা’

Looks like you've blocked notifications!

শাহবাগ গণজাগরণের দুই বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে আগামীকাল ৫ ফেব্রুয়ারি। ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি নিয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন এখনো অব্যাহত আছে। এবং আন্দোলনকে নিয়ে বেরোচ্ছে বিভিন্ন প্রকাশনা ও বইও। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে শেরিফ আল সায়ারের গ্রন্থ ‘শাহবাগের জনতা’। বইটি বেরোবে আদর্শ প্রকাশনী থেকে।

‘শাহবাগের জনতা’ শেরিফ আল সায়ারের অভিসন্দর্ভ থেকে তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে শেরিফ বলেন, ‘বইটি আমার অভিসন্দর্ভের হুবহু কপি নয়। সাধারণ পাঠকের দিকে তাকিয়ে বইটি লেখা হয়েছে। সাধারণ পাঠক যেন শাহবাগ নিয়ে তাঁর জিজ্ঞাসার উত্তর পান, সে চেষ্টাই করেছি।’

তবে শেরিফ বইটিকে তাঁর প্রাথমিক গবেষণাকর্ম হিসেবেই বিবেচনা করছেন। শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে এখনো অনেক কিছু করতে চান তিনি।
গণ-আন্দোলন নিয়ে গবেষণা কেন করলেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে শেরিফ বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের পরতে পরতে মানুষ তাদের দাবি ও ন্যায্য অধিকার আদায়ে আন্দোলন করেছে। বাংলাদেশে এসব গণ-আন্দোলন নিয়ে পূর্ণ গবেষণা খুব কমই চোখে পড়ে। এ বিষয়গুলো ধীরে ধীরে গবেষণার আওতায় নিয়ে এসে অজানা তথ্যের উন্মোচন করা জরুরি।’

শেরিফ আলোচ্য বইটিতে জার্মান দার্শনিক জুর্গান হেবারমাসের পাবলিক স্ফেয়ার বা জনপরিসরতত্ত্ব নিয়ে শাহবাগকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন। হেবারমাসের জনপরিসর গঠনের তিনটি শর্ত শাহবাগ আন্দোলন পূরণ করতে পেরেছিল কি না, সে বিষয়টিই পরখ করে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে গবেষণায়। আর এ কাজে তিনি শাহবাগ আন্দোলনকারীদের মধ্যে কয়েকজনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন।

‘শাহবাগের জনতা’ বইয়ের মধ্যে তিনজনের সাক্ষাৎকার সংযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার, ব্লগার আরিফ জেবতিক ও রাসেল পারভেজ।
শেরিফ মনে করেন, এই সাক্ষাৎকারগুলো থেকে পাঠকের অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর মিলবে। গণমানুষের যে দাবি থেকে শাহবাগ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, সেই শাহবাগ আন্দোলনকে অন্তর দিয়ে বুঝতে পারবেন পাঠক।

‘শাহবাগের জনতা’ বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মামুন হোসাইন। শাহবাগ আন্দোলনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বইমেলার স্টলে বইটি পাওয়া যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন লেখক।