কাজী গিয়াসউদ্দিনের ধূসর ক্যানভাসে

Looks like you've blocked notifications!
প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

বাংলাদেশের চিত্রকলা আন্দোলনকে প্রাণবন্ত এবং সাম্প্রতিক শিল্পচর্চার বিশ্বজনীন ধারায় যুক্ত থাকতে সর্বদা ব্যাপৃত ছিল ‘বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টস । গত ১৪ এপ্রিল ২০১৫ দেশের এই অগ্রণী শিল্প প্রদর্শনালয়ের পঞ্চদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাপান প্রবাসী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী কাজী গিয়াসউদ্দিনের একক চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।

গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টায় যৌথভাবে প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং বিশেষ অতিথি দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।

প্রদর্শনীতে তেলরং ও জলরঙে শিল্পীর সাম্প্রতিক আঁকা ৩৯টি শিল্পকর্ম রয়েছে। এসব কাজের বেশির ভাগেরই জমিন হিসেবে রাখা হয়েছে ধূসর রংকে। শিল্পী হয় তো স্মৃতিকে মূর্ত করতে চেয়েছেন ধূসর রঙের মাধ্যমে। এরই মধ্যে চেতন আর অবচেতনে জন্মভূমির প্রতি শিল্পীর যে গহীন ভালোবাসা, পরদেশে সৃষ্ট চিত্রপটে সেই ছাপ স্পষ্ট। জাপানের চিত্রকলা বা সংস্কৃতি তাঁকে প্রভাবিত করলেও নিজ দেশের চিরায়িত মাধুর্যই তাঁর চিত্রকলার অন্যতম অনুপ্রেরণা। প্রকৃতি থেকে আহরিত চিরচেনা মোটিফ আর অবয়বগুলো তিনি তাঁর নিজস্ব শৈল্পিক কৌশলে পুনর্নির্মাণ করেছেন চিত্রপটে। কয়েক স্তরের অসমতল জমিনে রঙের স্হিতধী ব্যবহার, ব্রাশস্ট্রোকের ধারালো আঁচড়, রেখার ঐন্দ্রজালিক উপস্হাপন আর মোটিফের নিঃশব্দ আবেদন শিল্পীর চিত্রকর্মকে সুরের অনির্বচনীয় আধারে রুপায়িত করেছে। 

শিল্পী কাজী গিয়াস উদ্দিন ১৯৫১ সালে মাদারীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে জাপানের টোকিও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব মিউজিক থেকে চারুকলায় পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন । এ  পর্যন্ত তাঁর দেশে-বিদেশে প্রায় ৬০টি একক চিত্র প্রদর্শনী হয়েছে। বর্তমানে তিনি ফ্রিল্যান্স শিল্পী হিসেবে কাজ করছেন।

প্রদর্শনীটি আগামী ২৬মে পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকবে।