Skip to main content
NTV Online

শিল্প ও সাহিত্য

শিল্প ও সাহিত্য
  • অ ফ A
  • গদ্য
  • কবিতা
  • সাক্ষাৎকার
  • গ্রন্থ আলোচনা
  • বইমেলা
  • চিত্রকলা
  • শিল্পসাহিত্যের খবর
  • পুরস্কার ও অনুষ্ঠান
  • চলচ্চিত্র
  • আলোকচিত্র
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • শিল্প ও সাহিত্য
ছবি

বর্ণিল সাজে সেমন্তী সৌমি

লাল টুকটুকে মিম

একান্তে তাহসান-রোজা

মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর ৫ খাবার

মেট গালা ফ্যাশনে দ্যুতি ছড়ালেন কিয়ারা

গ্রীষ্মের ফুলে ভিন্নরূপে রাজধানীর প্রকৃতি

বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণে প্রধান উপদেষ্টা

বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার

পুলিশ সপ্তাহ শুরু

স্টাইলিশ মিম

ভিডিও
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫২৫
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫২৫
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৩৯
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ০৮
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
জোনাকির আলো : পর্ব ১২৩
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৫৯
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৫৯
আলোকপাত : পর্ব ৭৭৫
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, পর্ব : ১২
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৮৬৮
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৮৬৮
আকিমুন রহমান
১০:৫৬, ০৩ মে ২০১৫
আপডেট: ১১:৪০, ০৪ মে ২০১৫
আকিমুন রহমান
১০:৫৬, ০৩ মে ২০১৫
আপডেট: ১১:৪০, ০৪ মে ২০১৫
আরও খবর
কাজী নজরুল ইসলাম : দ্রোহের কবি, সম্প্রীতির কবি
আন্দোলন-সংগ্রাম, রাজনীতিতে নজরুল-সাহিত্যের প্রভাব
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এশিয়া অঞ্চলে বিজয়ী ফারিয়া বাশার
স্বাগত ১৪৩২: বাংলা নববর্ষ বাঙালির উৎসব
ঢাকার ঈদ মিছিলে মোগল ঐতিহ্য
উপন্যাস কিস্তি ২৭

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন

আকিমুন রহমান
১০:৫৬, ০৩ মে ২০১৫
আপডেট: ১১:৪০, ০৪ মে ২০১৫
আকিমুন রহমান
১০:৫৬, ০৩ মে ২০১৫
আপডেট: ১১:৪০, ০৪ মে ২০১৫
ছবি : শিল্পী কামরুন নাহার ময়না

কোথায় রাখি প্রাণের পাখী কোন বা দেশে যাই !’

মাছ ধরা শেষ কইরা  সেইদিন  ইসুফ মিয়ায় বাড়িতে আসে আছরের ওক্তে। আরো আগেই সেয় বাড়িত ফিরা আইতে পারত, কিন্তু বেইলের দিগে তার কোনোই  হুঁশ আছিলো না। মনের ভিতরের কথাখানরে নানামতে লাড়তে লাড়তে সেয় না পাইতাছিলো থই,না আছিল কোনোদিগে খেয়াল! খালি চিন্তা, খালি চিন্তা! 

মায়ের মুখের উপরে কেমনে কওয়া ধরব সেয় কথাখান! কোনো মতে? কেমনে কইলে মায়ও বোঝব ঠিকমতোন; আবার পুতেরেও মায় বেশরম মনে করব না! কোনো মতে কইব ইসুফ মিয়ায়! এই সেই চিন্তায় ফানা ফানা হইতে হইতে সেয় ছিপ ফালাইছে আর তোলছে। মাছ ওঠছে জব্বর; কিন্তু আসল কথাখান ভাও-মতোন কওনের  কোনো রাস্তা সেয় পায় নাই। শেষে কোনোপ্রকার দিশাবিশা না পাইয়া সেয় মাছধরায় খ্যামা দেয়। আর বাড়ির পথ ধরে।
 
 পুতের হাতে ধরা ডুলাখান দেখ হরেক পদের মাছে প্রায় ভর-ভরা! দেইখ্যা  ভিতরে ভিতরে মায়ে খুশি হয় ঠিকই, কিন্তু মুখ সেয় কইরা থোয় বেজার বেজার। এতাটি মাছ এই অসময়ে এখন গুছানি দেয় কেডায়! জিয়ল মাছ হইলে না হয় জিয়াইয়া থোওন যাইত! অখন কী করা! ফুবু কয়, আমি কোটাইতাছি ইসুফের মা। তুই পোলার খাওন দেখতে যা!

মায়ে এতখোন পোলার লেইগা বার চাইতে চাইতে অস্থির। কী মাছ ধরতাছে উয়ে আউজকা! দোপোর গিয়া আছরের ওক্ত আহি আহি করতাছে, তাও বাইত আওনের নাম নাই পুতের! শীত কাইল্যা দিন! চোখটা না ফিরাইতেই তো বেইল ডুইব্বা যায়! একবারে রাইতে খাইব সারাদিনের খাওন! কোন বিয়ানে কী খাইছে!

একবার মনে হয়,পুতে নি অর বইনের ঘরে খাইছে! কিন্তুক আবার লগে লগেই মনে আসে যে, কেমনে খাইব! বিনা দাওয়াতে তালোই-মাউয়ের বাড়িত তো কুটাটাও দাঁতে কাটোনের রেওয়াজ নাই এই দেশে। পুতে, মইরা গেলেও নিয়ম ভাঙতে যাইব না! তাইলে অর বইনের উঁচা মুখ আর উঁচা থাকব না! পোলায় তবে করে কী! এই সকল চিন্তা নিয়া ঘর-বাইর করতে করতে মায়ে দেখে, আইছে পোলায়!

‘এমুন নি করে মাইনষে! নিজেরে এমনে আজাব দেয়! এই মাথা-খরাপী কবে যাইব তর?’ পুতের পাতে ভাত দিতে দিতে মায়ে জিগায়।

‘ঘরে বৌ আইন্না দেও, মাথা-খরাপী ভালা অইয়া যাইব!’ ইসুফ মিয়ায় কোনোরকমে মায়েরে এই কথাটা কয়। তার হাত থালের ভাত লইয়া লাড়াচাড়ি করতে থাকে, কিন্তু মুখে আর গেলাস ওঠে না। তার চক্ষেরাও য্যান মা-র মুখের দিগে চাওয়ার শক্তি রাখে না। তারা তবদা মাইরা পইড়া থাকে ভাতের থালের উপরে।

পুতের কথাখান মায়ের কানে যায়, কিন্তু সেয় বিষয়টা ধরতে পারে না ঠিক মতোন। পরথমে তার মোনে অয় যে, এই বান্দরে বুঝি মা-র লগে মশকারি করতাছে! তার পুতের শয়তানি করার খাসলত আছে তো! 

‘অইছে! ফাতরামি থো!’ কইতে কইতে মায়ের চোখ যায় পোলার মুখে। অর মুখখান দেখো থমথমা, আন্ধার! মশকারির কোনো চিন্ন তো দেহা যায় না অই মুখে! মায়ের অন্তরটা বিনা কারণেই ধুক্কুর কইরা ওঠে! 

‘কি কলি এইটা, পোংটা পোলা? মা-র লগে পোংটামি বন করিস কইলাম!’ মায়ে পুতের কথাটারে উড়াইয়া দিতে যায়; ‘ময়-মুরুব্বির লগে তামশা জোড়াইছস! কেমুন নিলাজ!’

‘আমি তামাশা করতাছি না গো! হাছা কইতাছি! ঘরে তোমার পুতের বউ আনোনের ব্যবস্থা করোন লাগব, মা!’ এইবার এক ঝটকায় মুখখান তোলে ইসুফে। তার বেদিশা চক্ষেরা মায়েরে মিন্নতি করতে থাকে।

এইটা তাইলে মশকারি না? পোলায় তাইলে হাছাই বিয়ার কতা কইতাছে? আল্লা আল্লা! অর মাতায় তো হাছাই দোষ পড়ছে! মাথা-খরাপ না হইলে, মায়ের চক্ষের দিগে চাইয়া বিয়ার হাউশ ব্যক্ত করতে পারে কেউই! কেউই করছে কোনো যুগে! চাইর চক্ষে বোলে বাঘেরও লাজ হইয়া যায়! আর, এদিগে জুয়ান পুতের চক্ষে হায়া-পর্দা নাই! দুনিয়ার তেনে লাজ-শরম-হায়া নাই হইয়া গেল গা কবে!

‘মা! আমারে নিলাজ কইও না!’ পুতে অধীর গলায় মা-রে কয়, ‘ জুলেখাগো বাইত সম্বন্ধ পাঠাও তুমি।’

‘কী! তলে তলে এই!’ মায়ের দেহ কতখোন এমুন অসাড়-বেবোধা হইয়া পইড়া থাকে যে, মনে লাগতে থাকে য্যান এইটা মনিষ্যি না! পইড়া রইছে একখান মরা শইল মাছ! তারবাদে আচমকা মায়ের চিত্তে কোরোধ বলক দিয়া ওঠতে থাকে। কোরোধে বগবগাইতে তার অন্তর-বাহির। 

‘দেখতে তো দেহা যায় য্যান ভাজা-মাছখান উল্টানি দিয়া খাইতে পারে না হেই ছেড়ী! আর, এদিগে দেহ কেমনে এই জুয়ান পোলার মাথা চাবাইয়া খাইয়া বইয়া রইছে! ডাইনের ঘরে ডাইন! বিনা কড়ি দিয়াই কিন্না নিছে গা আমার পুতেরে! হ্যা, এত দূর সাখোস বোলে অই ফকরনির মাইয়ার! খাড়া! মুইড়া পিছা ভাঙ্গা জোতা মাইরা পিরিত ছুটাইতাছি!’ মায় চিপা গলায় গরজাইতে থাকে।

‘মা! দেহ মা, ছেড়িরে দুইষ্য না! উয়ে কিছু জানে না! অর দোষ নাই। দোষঘাট যা আছে সব আমার! গাইল্লাও, পিছা মার, আমারে কর! অরে দুষী কইর না!’ ভাতের নলা হাতে ধরা থাকে ইসুফের, মুখে আর ওঠে না।
‘আইচ্ছা! মাথা তাইলে এত্তখানি খাইয়া থুইছে ডাকিনির ঝিয়ে! তলে তলে এত! ঘুমের মইধ্যে আমারে বেইচ্চা থুইছস পোলা!’

‘মাথা-খাওয়া-খাওয়ির কিছু অয় নাইক্কা না! কিরা কাইট্টা কইতাছি তোমারে! ছেড়ি কিছু জানে না। দুষী করলে আমারে কর। অরে আমার পরানে ধরছে!’

‘আমি তো মইরা গেলেও ঘরের লগে ইষ্টি পাতমু না! আমি জিন্দা থাকতে না! তর বাপে নি দিব পাততে! বাপের কত হাউশ-আল্লাদ এই পুতেরে নিয়া! আউজকা কি না সেই পুতে বাপের কইলজায় চাক্কু মারে! খবরদার কইলাম পোলা! আর জিন্দিগিতে য্যান না হুনি এই কতা!’

‘এমুন কইরো না মা!’ শইল্লের রক্ত য্যান শইল্লের ভিতরে ঠাণ্ডা-পাত্থর হইয়া যাইতে থাকে ইসুফ মিয়ার। ‘মা, এমুন কইরো না!’

‘কই আশা করছি সোনার ময়না পইখ একখান ঘরে আনমু! আমার পইল্লা-পরথম পুতটা! হের বউ আনমু পুতলাটা! দশভরি রূপার পাও-ঝাপ বানাইয়া থুইছি হেই পুতলার লেইগা। পাও-ঝাপ পিইন্ধা হাঁটবো, আর আমার কোলে কোলে বড়ো হইবো। হেইটা না কইরা অই অত্তা বড়ো বাত্তি-কাঠোল আনমু ঘরে, কোন দুক্ষে আমি! অরে বিধি! আমার বাড়াভাতে তুমি এমুন ছাই দিলা রে! কোন পাপে আমার কইলজায় আগুন দিলা খোদা!’ মায়ের চিপা কোরোধের গলাখান আঁতকা হুড়ুত কইরা উঁচা হইয়া ওঠে। তারবাদে ডাক-চিক্কুর দিতে দিতে মায় করে কী,ঘরের খাম্বার লগে নিজের মাথা বাইড়াইতে থাকে।

হায় হায় হায়! চোখটা না ফিরাইতে দুনিয়ার মাইনষে আইয়া ঘরে খাড়া! কী হইছে কী হইছে- কইতে কইতে সগলতে গিয়া জাপোইট্টা ধরে ইসুফ মিয়ার মায়েরে। দেহো দেহো! বাড়ির চোটে কী হইছে! লউ বাইর অইতাছে দেহি হের কপাল ফাইট্টা! দুনিয়ার লউ! পুতে না জানি মায়েরে কোন কুকথা কইছে! না জানি কোন খরাপ কথা বাইর করছে মুখের তেনে! দুক্ষিনী মায়ের তখন-নিজের কপালে মারোন ছাড়া আর কী করোনের আছে! কেমুন খরাপের খরাপ হইয়া গেছে হেগো বড়ো পুত– এই ইসুফ মিয়ায়!

ফুবুয়ে এই নিয়া কত জেরা-নাড়া দেয়, নানা জোনে কত রকমে কত কথা জিগায়; কিন্তু ইসুফ মিয়ার মায়ে কেউইর কাছে কোনো কথা ভাঙ্গে না। কে না জানে উপরের দিগে ছেব ফালাইলে আপনা উপরেই পড়ে! এইকথা কোনো কানেই দিব না ইসুফ মিয়ার মায়ে। নিজের পুতেরে মায়ে নিজে মুঠে রাখবো নিজের ভাও মতোন। অই ডাকিনির ফুস-মন্তর কাটানের অষুধ মায়ের জানা আছে। পারলে সাতদিনের মইধ্যে পুতেরে ঘরে বান্ধোনের ব্যবস্থা করব মায়!

কী সেই ব্যবস্থা?

পোলারে বিয়া দিব মায়ে। জলদি কইরা ঘরে বউ আনব। মাইয়া মনে মনে পছন্দ করাও আছে ইসুফের মা-বাপে। 

দেখ রে তামশা! মায়ে ইসুফ মিয়ার বাঞ্ছাখান খালি একফুঁয়ে নিভায়ই না। অরে শিকল দিয়া বান্ধনের বন্দোবস্তও নেয় তগনগদ। নিজের বড় ভাইয়ের মাইয়ারে ঘরে আনোনের আঞ্জাম-আয়োজন শুরু করে মায়ে। 

‘আঁতকা ক্যান  ইসুফ মিয়ার মায়ে এমুন হুড়াতাড়া করা ধরল পোলার বিয়ার লেইগ্যা! যাউক না আর কয়টা দিন!’ দেওভোগ আর লক্ষ্মণখোলার সকল মুরুব্বিয়ে কয়। ‘এই তো গেছে গা বচ্ছরখান! আছে খালি ভাঙ্গা কয়টা মাস। মাঘ যাইতাছে গা। মাঘ গেলে থাকে বাকি ফাগুন চৈত মাস। এইর মিদে শান্তিহালে ভাও-ব্যবস্থা করুক মাইয়ার বাপে। আল্লায় দিলে বিয়ার শুভকাম হইবো বৈশাখ মাসের ৭ তারিখে।’

অখন, বিয়া নিয়া হুড়াহুড়ি কী হুদাকামে করে ইসুফের মায়ে! করে নিজের মাথার ঘাওয়ে! কেউইরে তো ভেদের কথাখান ভাইঙ্গা কইতে যাইব না ইসুফ মিয়ার মায়ে-বাপে। নিজ ঘরের শরমের কতারে দশজোনের কানে দিয়া কী নিজেগো অসম্মানি করব হেরা! আর কতো অসম্মানি হইবো তারা! পুতে যে মোন মজাইছে, হাড়ি-মুচি মানে নাই; মা-বাপের কথা মাথায় রাখে নাই। ইজ্জত খোয়ানির বাকি রাখছে কী পোলায়!

সেইসগল হুড়াহুড়ির দিকে বোবা চক্ষে চাইয়া থাকে ইসুফ মিয়ায়! খরখরা শুকনার দিনে, একেবারে এক ঢলকও মেঘ-বিষ্টি না পাওয়া ফাগুন-চৈত মাসে আশপাশের কোনো না কোনো গেরামে কোনো না কোনো সোম আগুন লাগতে দেখছে সেয়। আঁতকা আগুন! দাউ দাউ দগ দগ আগুন। আঁতকা ধইরা গেরামের  পেরায় অর্ধেক বাড়িরে পুইড়া ছাই কইরা মাটির লগে মিশাইয়া, তারবাদে সেই আগুনের খাই মিটছে। নিভছে আগুন। নিভনের পরে কেবল পইড়া থাকতে দেখা গেছে পোড়া-দগ্ধ কালা আংড়া আর ছাই। সেই আগুন এইবার, এই-ফিরা কোনদিগে লাগছে!

লাগছে একখানে। দেওভোগ গেরামের কোনো বাড়িতে লাগে নাই আগুন। লাগছে এক ছার-কপাইল্লার জিন্দিগিতে! বাইরের আগুনরে নিভানি দিলে নিভে। পইড়া থাকে আংড়া-ছাই। কিন্তু ইসুফ মিয়ার অন্তরের আগুন যে নিভে না! ধিকি ধিকি জ্বলত যেই আগুন আগে, সেয় অখন আর ধিকিধিকি নাই! খাউ খাউ দবদবাইন্না হইয়া আগুন জ্বলতেই থাকে ইসুফ মিয়ার ভিতরে। জ্বলতেই থাকে।

সেই যে সেই দিন খাওয়ার-পাতে বসা ইসুফ মিয়ায় অন্তরে দবদবাইয়া ওঠল আগুন, তার আর কমাকমি নাই, নিভানিভি  নাই। জ্বলতাছে যে জ্বলতাছেই। তারে লগে নিয়াই ইসুফ মিয়ারে দিন গোজরান করোন লাগতাছে, রাইত পার করতে হইতাছে। বাহারে কিসমত! অখন সেয় খাইলে খায়, না খাইলে না খায়; গদিতে গিয়া পইড়া থাকে। 

বাড়িতে থাকতে আসে সেয় না-পারতে। বাড়িতে আর অর কী কাম! কোনো কাম নাই। আর কী কাম জুলেখাগো বাড়ির চাইর কিনারা দিয়া ঘুরান দিয়া! কোনো কাম নাই। উয়ে তো জুলিরে ঘরে নেওনের কোনো রাস্তা বিছরাইয়া পায় নাই! কোনো রাস্তা পায় নাইক্কা তো সেয়! তাইলে আর ক্যান এই দিন গোজরান! কী কামে!

নিজেগো বাড়ির মাইনষের খাসলত আঁতিপাতি রকমে জানে ইসুফে! জানে, জুলির বিষয়ে আর কোনো দরবার কইরা ফায়দা হইব না। হেগো না-য়েরে আর উল্টানি দিয়া হা বানাইতে পারব না ইসুফে। জিন্দিগিতেও পারব না।

অন্তরের আগুনরে লগে নিয়া সেয় একবার গদির কামে হাত লাগায়; একবার ছোনখোলার কোন ভিতরের কোন এক পতিত-বাড়ির নামায় গিয়া বইয়া থাকে। কী করলে ফাতফাতানিটা এট্টু কমব! কী করলে! 

এমনে এমনে যাইতে দিব গা সেয় জুলেখারে নিয়া তার আশা-বাসনারে! বৈশাখ মাসের ৭ তারিখে বোলে গিয়া তারে বিয়া করতে হইবো মামাতো বইনেরে। অদিগে, জুলির লেইগা তো ধুম সম্বন্ধ আইতাছেই। হেগো বংশে চৈত-মাসে বিয়া-শাদীর কাম করোনে নিষেধ আছে। তাইলে জুলির কোনো সম্বন্ধ পাক্কা হইলে তার কামও হইলে হইবো সেই বৈশাখ মাসেই। সোন্দর! তার কইলজারে নিবো গা অন্য কোনো এক বেটায়! আর এদিগে সেয় বোলে ঘরে আনবো আরেক ছেড়িরে! ইসুফে কী মানুষ! কিছু করোনের মুরাদ নাই তাইলে অর! উয়ে নিমুরুইদ্দা, আকামের বেটা! আর কিছু না।

ভিতরের আগুন গমগমায়। ঘাং ঘাং আওয়াজে গরজানি দেয়। গরজানি দিতে থাকে। যাইবো গা নি ইসুফ মিয়ায় যেই দিগে দুইচোখ যায়, হেই দিগে! যাইবো গা? লাখে লাখে বার তার পাও তারে ঠেলুনি দেয়, ল,যাই গা! আপনার তেনে পর ভালা। পরের তেনে জঙ্গল ভালা! থাকমু না সংসারে! ল, যাই গা!

সেই পাওয়েরে কোনো রকমে ঠেকানি দেয় ইসুফের বিবেকে। কয়, যাওন তো যায়ই! যেকোনো একসোম গেলে গা-ই অইবো। কিন্তুক, অখন অই জুলিরে একলা ফালাইয়া থুইয়া কই যাইবো সেয়! কোন পরানে যাইবো!

একেকবার মনে তারে ঠেলতে থাকে, ধুম ধুম ঠেলতে থাকে। কয়, ল- এই জীবনরে আর রাখোনের কাম নাই। ল, ফাঁসি লই! তাইলেই আর এত অপমানি এত লান্নত, এত গরদিশের লাত্থি সওন লাগতো না। ল, যাই!

কোনো প্রকারে সেই ঘাড়-তেরা মনরেও বুঝ মানায় সেয়। গেলে গাইতো গেলাম গা! যাইতে কতকখোন! যতকখোন শ্বাস ততকখোন আশ! ডাকের মায়ে কইয়া গেছে এই কতা। আট্টু দেহি! যুদি কোনো উপায় পাওন যায়! একটা কোনো খালি রাস্তা! কোনোমতে একটা রাস্তার চিন্ন দেহা যাইত যুদি! এট্টু একটা উপায়! 

বাড়িতে গরুগো খুঁটা দেওনের লেইগা বানাইন্না আছে বহুতগিলি দড়ি! তার তেনে একটা দড়ি হাতে নিয়া লাড়েচাড়ে ইসুফে প্রতিটা দিন। আর কত! এইবার তাইলে যাউক গা সেয় ফাঁস লইতে! একদিগে এক মোনে তারে ঠেলতে থাকে অদিগে যাইতে, আরেক দিগে আরেক মোনে তারে কইতে থাকে; আট্টু দেখি। আট্টু দেখি।

জুলেখায় জানে না অর লেইগা কোন আগুনে পুড়তাছে এক পোড়া-কপাইল্লায়!

(চলবে)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন(কিস্তি ২৬)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ২৫)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ২৪)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন(কিস্তি ২৩)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন(কিস্তি ২২)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ২১)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ২০)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১৯)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১৮)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১৭)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১৬)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১৫)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১৪)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন  (কিস্তি ১৩)​

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১২)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১১)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১০)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ৯)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ৮)​

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (সপ্তম কিস্তি)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (ষষ্ঠ কিস্তি)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (পঞ্চম কিস্তি)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (চতুর্থ কিস্তি)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (তৃতীয় কিস্তি)​

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (দ্বিতীয় কিস্তি)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (প্রথম কিস্তি)

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. অক্ষয়ের মামলা, সুদসহ টাকা ফেরত দিয়ে ‘হেরা ফেরি ৩’ ছড়ালেন পরেশ রাওয়াল
  2. শুধু অভিনেতা নন, পেশাদার পাইলটও ছিলেন মুকুল দেব
  3. বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই ঘরবন্দি ছিলেন মুকুল দেব
  4. পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে ২৫ কোটির মামলা ঠুকলেন অক্ষয় কুমার
  5. টিজারেই ঝড় তুলল ‘ওয়ার ২’, মুক্তির তারিখ ঘোষণা
  6. বিয়ে নয়, এবার ‘লিভ ইন’ করতে চান সামান্থা!
সর্বাধিক পঠিত

অক্ষয়ের মামলা, সুদসহ টাকা ফেরত দিয়ে ‘হেরা ফেরি ৩’ ছড়ালেন পরেশ রাওয়াল

শুধু অভিনেতা নন, পেশাদার পাইলটও ছিলেন মুকুল দেব

বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই ঘরবন্দি ছিলেন মুকুল দেব

পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে ২৫ কোটির মামলা ঠুকলেন অক্ষয় কুমার

টিজারেই ঝড় তুলল ‘ওয়ার ২’, মুক্তির তারিখ ঘোষণা

ভিডিও
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫০
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫০
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫২৫
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫২৫
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
এই সময় : পর্ব ৩৮২০
এই সময় : পর্ব ৩৮২০
নাটক : প্রেম আমার
নাটক : প্রেম আমার
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৯
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৯
মিউজিক নাইট : পর্ব ১৯৫
মিউজিক নাইট : পর্ব ১৯৫
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৮৬৮
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৮৬৮
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৬
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৬

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x