কিস্তি ১৯

বিশ্বসেরা ১০০ বই

গিয়াকোমো লিওপার্দির কবিতা

Looks like you've blocked notifications!

নবিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত ইতালীয় কবি ও গল্পকার গিয়াকোমো লিওপার্দি। অতীত ও বর্তমানের মধ্যে এক অদ্ভুত যোগসাজশ তৈরি করেছেন তিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে। তাঁর কবিতাগুলো অনুবাদ করেই প্রকাশ করা হয় কমপ্লিট পোয়েমস বাই গিয়াকোমো লিওপার্দি

লিওপার্দির বেশির ভাগ কবিতায় গভীর জীবনবোধ প্রকাশিত হয়েছে। জীবনের দুঃখ ও ভোগান্তিকে তিনি ক্ষণস্থায়ী বলেছেন। তিনি বলেছেন, মৃত্যুই মানুষকে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও সুখ এনে দিতে পারে। শুধু জীবনবোধ নয়, প্রকৃতির সৌন্দর্য নিয়ে লিখেছেন মুগ্ধ কবি লিওপার্দি।

লেখক পরিচিতি

পুরো নাম গিয়াকোমো তালদেগার্দো ফ্রান্সেসকো দি সেলস সাভেরিও পিয়েত্রো লিওপার্দি। ইতালীয় এই কবির জন্ম ১৭৯৮ সালের ২৯ জুন। একই সঙ্গে তিনি কবি, প্রাবন্ধিক ও ভাষাবিজ্ঞানী ছিলেন।

ইতালির মাখশে অঞ্চলের রেকানাতির এক অভিজাত পরিবারের জন্ম লিওপার্দির। তাঁর বাবা ছিলেন একজন সাহিত্যপ্রেমী। সুখী পরিবারে বেড়ে ওঠা লিওপার্দির শৈশব ছিল আনন্দময়। খুব অল্প বয়স থেকেই তিনি বিভিন্ন বিষয় পড়তে শুরু করেন। এটাই তাঁর কবি হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

পরিবারের ঐতিহ্য অনুযায়ী লিওপার্দির লেখাপড়া শুরু হয় যাজকদের কাছে। তবে তাঁর বেশির ভাগ সময়ই কাটত বাবার পাঠাগারে। সেখান থেকেই তিনি বিভিন্ন বিষয়ে জানতে শুরু করেন। এটাই তাঁর মনের বন্ধ দুয়ার খুলে দেয়। বাবার তত্ত্বাবধানে অল্প সময়ের মধ্যেই ধ্রুপদি সংস্কৃতি ও দর্শনে ভালো দখল চলে আসে লিওপার্দির।

১২ থেকে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত প্রচুর লেখাপড়া করেন লিওপার্দি। লাতিন, গ্রিক ও হিব্রু ভাষায় অনর্গল বলতে ও লিখতে পারতেন তিনি। ধর্ম, দর্শন ও সাহিত্যে তাঁর জানার পরিধি বিশাল ও বিস্তৃত। এসবই পরে তাঁর লেখালেখিকে প্রভাবিত করেছে। ১৮৩৭ সালের ১৪ জুন মারা যান লিওপার্দি।

** বিশ্বসেরা ১০০ বইয়ের তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান-এ প্রকাশিত তালিকা অবলম্বনে এ তালিকা তৈরি করেছে নরওয়েজিয়ান বুক ক্লাবস বিশ্বের ৫৪টি দেশের ১০০ লেখকের কাছে তাঁদের চোখে সেরা ১০টি বই ও লেখকের নাম চেয়েছিল নরওয়েজিয়ান বুক ক্লাবস ১০০ জন লেখকের দেওয়া সেই তালিকার ভিত্তিতেই যাচাই-বাছাই করে তৈরি করা হয়েছে এ তালিকা

আরো পড়ুন...
১৮. হোর্হে লুইস বোর্হেসের ‘কালেক্টেড ফিকশনস’
১৭. নাগিব মাহফুজের ‘চিলড্রেন অব গেবেলোই’
১৬.কাফকার ‘দ্য ক্যাসেল’
১৫. জেফ্রি চসারের ‘দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস’
১৪. টমাস মানের ‘বাডেনব্রুকস’
১৩.ফিওদোর দস্তয়েভস্কির ‘দ্য ব্রাদার্স কারামজোভ’
১২.বুক অব জব

১১.ফার্নান্দো পেসোয়ার ‘দ্য বুক অব ডিসকোয়ায়েট’

১০. হোসে সারামাগোর ব্লাইন্ডনেস

৯. আলফ্রেড ডোবলিনের বার্লিন আলেক্সান্দারপ্লাটজ

৮. টনি মরিসনের ‘বিলাভড’

৭. তলস্তয়ের ‘আন্না কারেনিনা’

৬. ভার্জিলের ঈনিড

৫. মার্ক টোয়েনের ‘দি অ্যাডভেঞ্চার্স অব হাকেলবেরি ফিন’

৪. উইলিয়াম ফকনারের ‘আবসালোম, আবসালোম!’

৩. গুস্তাভ ফ্লোবার্টের ‘সেন্টিমেন্টাল এডুকেশন’

২. হেনরিক ইবসেনের ‘এ ডলস হাউস’

১. জর্জ অরওয়েলের ‘নাইনটিন এইট্টি ফোর’